পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিক জামাল খাসোগির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সউদী আরবের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছেন। ইস্তাম্বুলে সউদী কনস্যুলেটে প্রবেশের পর তাকে সন্দেহভাজন কর্মকর্তারা হত্যা করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, এ ব্যাপারে তিনি সউদী আরবের ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে’ একাধিকবার কথা বলেছেন। উল্লেখ্য, সউদী আরব ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোর অন্যতম এবং মার্কিন অস্ত্রের একটি বড় বাজার। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে সউদী অরবের কাছে ‘আমরা সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুধু সাংবাদিক কেন, কারো ক্ষেত্রেই আমরা এমন ঘটনা ঘটতে দিতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে যা চলছে তাতে আমরা খুবই হতাশ। আমরা এমনটা পছন্দ করি না এবং এ ব্যাপারে আমরা সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাচ্ছি।’
ট্রাম্পের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স জানান, গত দু’দিনেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহকারি ও তার জামাই জারেড কুশনার যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
মার্কিন নাগরিক এবং বাদশা সালমান ও তার পুত্র প্রিন্স মোহাম্মদের কট্টর সমালোচক খাসোগিকে প্রলোভন দেখিয়ে ইস্তাম্বুল কনস্যুলেটে ডেকে নিয়ে সেখানে রিয়াদের পাঠানো ১৫ সদস্যের একটি দলকে দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে- তুরস্কের এমন দাবির সত্যতা যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করতে পারেনি।
তবে বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, যুবরাজ মোহাম্মদ নিজেই খাসোগিকে লক্ষ্য করে এ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কারো নাম উল্লেখ না করে গোয়েন্দা আলোচনা নিয়ে আড়িপাতা মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওই সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, প্রলোভন দেখিয়ে কাসোগিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্য থেকে ডেকে নিয়ে তাকে আটক করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার কথা শুনেছেন সউদী কর্মকর্তারা।
বিভিন্ন মানবাধিকার ও সাংবাদিক গ্রæপ এ ঘটনার কঠোর সমালোচনা করে।
বিষয়টি নিয়ে বোল্টন, কুশনার ও পম্পেও কথা বলার পর স্যান্ডার্স জানান, ‘তারা এ তদন্ত প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে সউদী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।’
ট্রাম্প আরো বলেন, তিনি খাসোগির বাগদত্তা হ্যাটিস সেনগিজের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছেন। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।