নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
১৪০ ওভার বল করার সুযোগ পেয়েও অস্ট্রেলিয়াকে অল আউট করতে পারেনি পাকিস্তান। প্রায় পাঁচ সেশনের সেই দীর্ঘ লড়াই পার করে দুবাই টেস্ট ড্র করতে সক্ষম হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যে ড্র টিম পাইনের দলের জন্য জয়ের সমান। চতুর্থ ইনিংসে এত লম্বা সময় কখনো ব্যাট করেনি অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচ বাঁচাতে দুবাইয়ের ভগ্ন পিচে শেষ দিনের পুরোটা সময় কাটিয়ে দিতে হত অস্ট্রেলিয়াকে। এজন্য হাতে ছিল সাত উইকেট। অজিরা মাত্র ৫ উইকেট খুঁইয়েই রেকর্ডময় কাজটি করে ফেলে। তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ৩৬২ রান। জিততে হলে করতে হত আরো ঠিক ১০০। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৪৮২ রানের জবাবে ২০২ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৮১ রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে ৪৬২ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান।
শেষ দুই সেশনে অপরাজিত ১৯৪ বল মোকাবেলা করে অসাধ্যপ্রায় কাজে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক টিম পাইন। তবে পাক বোলারদের সামনে সবচেয়ে বড় প্রতিরোধটা আসে উসমান খাজার ব্যাট থেকে। ৩০২ বলের ম্যারাথন ইনিংস খেলে যখন শেষ সেশনে ইয়াসির শাহ’র বলে আউট হন নামের পাশে তখন ১৪১ রান। কিন্তু পাইন ৬১ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন দলের ড্র নিশ্চিত করেই। শেষ বিকেলে আব্বাস-ইয়াসির-বেলালদের করা ৩৪টি বল মোকাবেলা করা নাথান লায়নও নিশ্চয় প্রসংশার দাবি রাখে।
ট্রেভর হেডকে তুলে নিয়ে মোহাম্মদ হাফিজের সে কি উল্লাস! আগের দিন উসমান খাজার সাথে কাটিয়েছেন চতুর্থ দিনের শেষ ১৮ ওভার। এদিনও কাটিয়ে দেন পুরো প্রথম সেশন। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ১৩৪ রানের জুটি ভাঙা উল্লাস এমন হতেই পারে। পঞ্চম ভ্যাটসম্যান হিসেবে মার্নাস লাবুশেনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কিন্তু তখনও অজিদের আস্থার প্রতীক হয়ে ক্রিজ কামড়ে ছিলেন খাজা। এরপরই পাশে পেয়ে যান অধিনায়ক টিম পাইনকে। পাক বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে পুরো ৩৬ ওভার কাটিয়ে দেয় খাজা-পাইন জুটি। সময় ক্ষেপনই যেখানে মূখ্য সেখানে ৭৯ রানও কম নয়। এরপরই খাজার ৩০২ বলো প্রতিরোধ ভাঙেন ইয়াসির। এর আগে লাঞ্চ থেকে ফিরেই নিজের জন্মদিনের উপহারসরুপ এশিয়ায় প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন খাজা। সে সেঞ্চুরির মহত্বটা জয়মন্ডিত না হলেও তার চেয়ে কম নয়।
নিজের পরের ওভারে মিচেল স্টার্ক ও পিটার সিডলকেও তুলে নিয়ে পাকদের আশা উজ্জ্বল করেন ইয়াসির। দিনের খেলা তখনও যে প্রায় ১৪ ওভার বাকি। এরপরই নাথান লায়নকে নিয়ে সরফরাজ আহমেদের দলকে সবচেয়ে বড় হতাশা উপহার দেন অপর প্রান্ত আগলে রাখা পাইন। আর কোন অঘট ছাড়াই কাটিয়ে দেন দিনের বাকি সময়। তার দলও পেয়ে যায় জয়ের সমান এক ড্র।
প্রথম ইনিংসের নায়ক বেলাল আসিফ দ্বিতীয় ইণিংসে কোন উইকেটই পাননি। আগের দিন শেষ সেশনে সাত বলের ব্যবধানে তিন উইকেট তুলে নেয়া আব্বাসও সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। এদিন এই পেসারও ছিলেন উইকেটশূণ্য। প্রথম ইনিংসের মত এবারও উইকেটশূন্য ওহাব রিয়াজ। অসাধারণ ইনিংসের সুবাদে ম্যাচসেরা হন খাঁজা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান : ৪৮২ ও ১৮১/৬ (ডি.)
অস্ট্রেলিয়া : ২০২ ও (লক্ষ্য ৪৬২) ১৩৯.৫ ওভারে ৩৬২/৮ (আগের দিন ১৩৬/৩)(খাজা ১৪১, হেড ৭২, লাবুশেন ১৩, পেইন ৬১*, স্টার্ক ১, সিডল ০, লায়ন ৫*; আব্বাস ৩/৫৬, হাফিজ ১/২৯, ইয়াসির ৪/১১৪, ওয়াহাব ০/৪২, বিলাল ০/৮৭, হারিস ০/১৬, শফিক ০/১)। ফল : ম্যাচ ড্র। সিরিজ : দুই ম্যাচ সিরিজে ০-০ সমতা। ম্যান অব দা ম্যাচ : উসমান খাজা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।