Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিল্লির কাছে ঢাকা চায় অকপট আচরণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

‘ভারত যদি দাবি করেন যে বাংলাদেশ বন্ধু তাহলে দিল্লির কাছে ঢাকা চায় সমান ও অকপট আচরণ। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ভারতেরও সমৃদ্ধির কারণ হবে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট নিরাপত্তা ঝুঁকি। শরণার্থীরা ফিরে না গেলে বাংলাদেশ সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিতে পড়বে। অতএব দিল্লির উচিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা। গতকাল এক আলোচনা সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিষয়টি আমলে নিয়ে তারা বলেন, গত কয়েক বছরে ভারত অনেক কিছু করার ঘোষণা দিলেও খুব অল্পই বাস্তবায়ন করেছে। রাজধানীর একটি হোটেলে কসমস ফাউন্ডেশন এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (আইএসএএস) যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক : ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

আইএসএএসের মুখ্য গবেষণা ফেলো এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএসএএসের পরিচালক সি রাজা মোহন। বক্তৃতা করেন সিঙ্গাপুরের অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ এবং আইএসএএসের চেয়ারম্যান গোপিনাথ পিল্লাই, ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত কৃষ্ণান শ্রীনিবাসন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান, কসমস গ্রুপের পরিচালক নাহার খান এবং সাবেক ও বর্তমান কূটনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ প্রমূখ।

অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, তারা (ভারত) যদি দাবি করেন যে আমরা বন্ধু তাহলে আমরা সমান ও অকপট আচরণ চাই। আমাদের সমৃদ্ধি ভারতেরও সমৃদ্ধির কারণ হবে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং তারা যদি ফিরে না যায় তাহলে বাংলাদেশ সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে। ভারতের নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ জড়িত থাকলেও তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে তেমন কোনো চাপ প্রয়োগ করেনি। অধ্যাপক দিলারা নিরাপত্তার দ্বিতীয় বিষয় হিসেবে পানি ইস্যুকে চিহ্নিত করেন এবং এ বিষয়ে ভারতের সুশীল সামাজের কোনো ভূমিকা না দেখতে পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলো মরে যাওয়ার জন্য তিনি ভারত নির্মিত বাঁধগুলোকে দায়ী করেন। তার মতে ভারতকে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিলেও বাংলাদেশ খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারেনি। থাকার পরও ভারতের মোট আমদানির মাত্র ১ শতাংশ বাংলাদেশ থেকে যায়। যেখানে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কারও ভারতের সাথে বেশি বাণিজ্যিক সম্পর্ক। তিনি বলেন, আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা কেউ ভারতবিরোধী নয়, তারা শুধু পারস্পরিকভাবে লাভজনক একটি সম্পর্ক দেখতে চান। অন্যান্য বক্তারাও প্রায় অভিন্ন সুরে কথা বলেন।



 

Show all comments
  • আজগর ১১ অক্টোবর, ২০১৮, ১:৩৯ এএম says : 0
    তাদের কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করাই ভুল
    Total Reply(0) Reply
  • ash ১১ অক্টোবর, ২০১৮, ৪:০১ এএম says : 0
    VAROTER SHATHE GOLAY GOLAY KHATIR KORE BANGLADESHER KONO LAV HOY NAI BORONCHO ONEK KHOTI HOESE !! CHINAKE KHEPIE DEWA HOESE !! RESULT = 24 BILLION $ INVESTMENT JUKITE PORECHE, CHINAR WSKANITE 10 LUKH ROHIGGA AJ BANGLADESHER MODDY + ATO NIRIHO ROHIGGADER MRITTUR KARON O !! CHINAR SHATHE BANGLADESHER SHOB SHOMOY E SHUNDOR SHOMPORKO SILO 71 ER POR THEKE E !! KINTU VAROTER SHATHE SECURITY DEAL KORAR PORE E CHINAR SHATHE BANGLADESHR SHOMPORKO KHUB E KHRAP HOE GASE !! SESULT CHINAR WSKANI !! CHINAR WSKANI SARA BURMA R BAPER SHOKTI SILO NA ATO ROHIGGAKE THELE BANGLADESHE PATHAY !!
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ১১ অক্টোবর, ২০১৮, ৯:৪৯ এএম says : 0
    Amader netara tader ontoronggo bondhu bole mone kore shob shartho bihin tader shob kisu ojar kore deleo eai sharthobadi varot amader valo kisoi shojjo korte parena.Tara chai amra shudhu tader chakkur niche mas hoye thaki. .
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ