রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সীতাকুন্ডে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে চলছে এখন আউশ ধান কাটা ও মাড়াইয়ের উৎসব। চলতি বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে আউশের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে কৃষি পরিবার। ধানের উৎপাদন ভালো হওয়াতে একদিকে যেমন কৃষক পরিবারও খুসি, অন্যদিকে বিভিন্ন ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও আউশ ধান উৎপাদনে বেশ মুগ্ধ। এদিকে সীতাকুন্ড বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল এলাকার কৃষক মো. মান্নান জানান, প্রতিবছর ধানের মৌসুমগুলোতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করে আসছেন তিনি। তারই ধারাবাহীকতায় এ বছরেও প্রায় এক একর জমিতে আউশের বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করেছেন। তার জমিগুলো একটু উঁচু স্থানে হওয়ার ফলে উচ্চ ফলনশীল নেরিকাসহ আউশের বিভিন্ন জাতের ধানের উৎপাদন গেল বছর থেকে অনেকগুণ বেশি হয়েছে। এই ব্লকে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিপাস কান্তি চৌধুরী জানান, তার এলাকায় চলতি বছরে আউশ মৌসুমে ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ৩ শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১৩ শ’ কৃষক পরিবার আউশের বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করেছেন। বর্ষার সময় আউশ মৌসুমে একটানা বৃষ্টিতে সাগরের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার নিচু জায়গায় পানি জমে আউশ ক্ষেতের ক্ষতি হয়ে থাকে। তবে চলতি বছরে তেমন ক্ষতি হয়নি। অন্যদিকে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের কৃষক মো. কৃষক তোফাইল আহমেদ জানান, চলতি মৌসুমের বৈশাখে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে ১০ কেজি আউশ ধানের বীজ দিয়ে ছিলেন। আষাঢ়ে জমিতে বৃষ্টির পানি জমার সাথে সাথে তিনি দেড় একর জমিতে ধান চাষ করেন। এতে শ্রমিক ও অন্যান্য চাষে তার খরচ পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। প্রতিমন ধান হাটে ৬ শ’ টাকায় বিক্রি করেছেন। তবে গত বছর একই ধান ৮০০ টাকা করে বিক্রি হয়ে ছিল। তবে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধান হওয়ায় একটানা বৃষ্টিতেও ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি।
এ ব্লকে দায়িত্বে থাকা ঝন্টু কুমার নাথ বলেন,এ পাহাড়ি এলাকা ব্লকে ৯০ হেক্টর জায়গায় ১৩ শ’ কৃষক আউশের বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করেছেন। ফলনও গত বছর থেকে অনেক ভালো হয়েছে। এ এলাকায় প্রতি মৌসুমগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতীর ফসলের চাষ হয়ে থাকে। সীতাকুন্ড পৌরসভা এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহ্ আলম বলেন পন্থিছিলা, শেখপাড়া, নলুয়া পাড়া, মধ্যম মহাদেবপুর, ইকোপার্কসহ ইদিলপুরসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় আউশের বিভিন্ন জাতের ধান কাটাও ধান মাড়াই চলছে। ধানের উৎপাদন আশানুরূপ হওয়াতে এ অঞ্চলের কৃষকরাও অনেক খুসি। উপজেলা সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্রনাথ বলেন উপজেলায় বর্তমানে আউশ কাটা প্রায় শেষের দিকে। এখন প্রতিটি গ্রামে গ্রামে চলছে ধান মাড়াই ও ধান সিদ্ধ করার উৎসব। ধানের উৎপাদন অনেক ভালো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সাফকাত রিয়াদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, চলতি বছরে আউশের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাত হাজার হেক্টর। আর অর্জিত হয়েছে সাত হাজার ৩ শ’ হেক্টর। যা গত বছরের তোলনায় অনেক বেশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও কোনো প্রভাব পড়েনি এবার আউশ উৎপাদনে। আর রোগ বালাইও এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। ফলে আউশ ধানের বিভিন্ন জাতের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বছরে শুরুতে প্রবল বর্ষণে সামান্য কিছু ধানের ক্ষতি হলেও উৎপাদন বেশি হওয়ায় তা কৃষকদের পুষিয়ে গেছে। গত বছরের মতো চলতি বছরও ২৩ হাজার ১ শ’ কৃষক পরিবার আউশের বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করেছেন। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল উফশি’র চাল উৎপাদন হবে প্রতি হেক্টরে ২.৮৫ মেট্রিক টন, আর হাইব্রিড ৪.১০ মেট্রিক টন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।