Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে সুপারির বাম্পার ফলন চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বিদেশে

প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার অফিস: কক্সবাজারে চলতি মৌসুমে সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি সপ্তাহের রবি, বুধ ও বৃহস্পতিবার উখিয়া এবং টেকনাফের উপকূলীয় এলাকা সুপারির হাটে দেখা যায় বিশাল অকারের সুপারির স্ত‚প। এসব বাজার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পাইকারি ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকার সুপারি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে বলে মনে করেন চাষিরা। বাড়তি মূল্য পাওয়ায় সুপারি চাষি ও বিক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জেলার দুটি উপকূলীয় উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পন বা ৮০টি সুপারি বিক্রি হচ্ছে ২০০-৩০০ টাকায়। গত বছরের তুলনায় এ বছরে সুপারির দাম যথেষ্ট ভালো। এ কারণে সুপারি বিক্রেতারা আনন্দিত। পাশাপাশি দাম পেয়ে সুপারি উৎপাদনকারীরাও মহাখুশি। প্রতি সপ্তাহে উখিয়া ও টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটি টাকারও বেশি সুপারি যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে বেশিরভাগ সুপারির ফলন হয়েছে উখিয়ার উপকূলীয় এলাকা সোনারপাড়া, নিদানিয়া, ইনানী, মনখালী, চেপটখালী, মাদারবনিয়া, টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া, সাবরাং ও নোয়াখালী শীলখালী সহ সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা। রামুর বিভিন্ন এলাকাতেও সুপারির আবাদ হয়ে থাকে।
উন্নত দেশগুলোতে পান-সুপারি নিষিদ্ধ হলেও সাব কন্টিনেন্টের দেশগুলোতে পান খাওয়ার বেশ রেওয়াজ রয়েছে। আমাদের দেশে অতীতে বিয়ের আগে পাড়া-পড়শীদের নিয়ে পানসল্লা বা শলাপরামর্শ করা হতো। ওই আসরে মুখ্য খাবার বা মেহমানদারি করা হতো পান দিয়ে। আর বিয়ের আগের দিন বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে পাঠানো হতো জমকালো পান-সুপারি। এই পান-সুপারি ছাড়া বলতে গেলে বিয়েই হতো না। এখন সেই পরিসরে পান-সুপারির কদর না হলেও ঘর-বাড়িতে, হাট-বাজারে এখনো পান-সুপারির কদর কমেনি। গ্রামাঞ্চলে সেকেলেভাবে পান খাওয়া হলেও শহর বন্দরে এবং সুপারসপগুলোতে পানের খিলি অনেক উন্নত করে পরিবেশন করা হয়ে থাকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি সপ্তাহের রবি ও বুধবার উখিয়া-টেকনাফের সোনার পাড়া বাজার এবং টেকনাফ সদর ও শামলাপুর থেকে ১০/১৫ ট্রাকে করে, প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকার সুপারি দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। জানা গেছে, এসব সুপারি দেশের রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্যিক নগরী চট্টক্রগ্রামসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও উখিয়া-টেকনাফে উৎপাদিত সুপারী দেশের চাহিদা মিঠিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদিআরব, আরব আমিরাত, ওমান সহ ৬/৭ দেশে রপ্তানী হয়ে থাকে। এসব দেশে সুপারি রপ্তানি করে কোটি কোটি টাকা আমদানি করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও বেনাপুল বন্দর হয়ে প্রতিনিয়ত পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতেও সুপারি রপ্তানি হয়ে থাকে। অতীতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে সুপারি রপ্তানি হলেও সম্প্রতি শোনা গেছে ব্যবসায়ীরা এদিক থেকে মিয়ানমারেও সুপারি নিয়ে যাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজারে সুপারির বাম্পার ফলন চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বিদেশে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ