বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের নওদা ফুলকোচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষিকার হাতে ওই বিদ্যালয়েরই আরেক সহকারী শিক্ষিকা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন। এ ঘটনার পর লাঞ্চিত সহকারী শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াছমীন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, এ ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা ও সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহসীন রেজার বিরুদ্ধে তদন্তে পক্ষপাতিত্ব এবং অভিযোগকারী শিক্ষিকাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বদলী ও এসিআর খারাপ দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযোগকারী সহকারী শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াছমীন জানান, তার সহকর্মী হোসনেয়ারা খাতুন বহুদিন ধরে তাকে বিনাকারণে মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ২ তারিখে হোসনেয়ারা বিদ্যালয়ে সবার সামনে বিনাকারণে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছিলেন। এসময় গালাগালের কারণ জানতে চাইলে ওই শিক্ষিকা আরো উত্তেজিত হয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। পরদিন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাফিজা খাতুন পুরো ঘটনা অবগত হয়ে ওই অভিযোগপত্রে নির্যাতনকারী সহকারী শিক্ষিকা হোসনেয়ারা খাতুনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন।
পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহসীন রেজাকে। গত রোববার দুপুরে তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন রেজা সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং নির্যাতনকারী শিক্ষিকার কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে উল্টো অভিযোগকারী ফরিদা ইয়াছমীনকে মিমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এতে তিনি রাজি না হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বদলী করার এবং এসিআর খারাপ দেয়ার হুমকী দিয়ে তিনদিনের মধ্যে বিষয়টি মিমাংসার নির্দেশ দেন। অভিযোগকারী ফরিদা ইয়াছমীন এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম সেলিম বলেন, রোববার সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্তে এসেছিলেন। উভয় শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদে হোসনেয়ারা খাতুন তার সহকর্মী ফরিদা ইয়াছমীনকে লাঞ্চিত করার কথা স্বীকার করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাফিজা খাতুন বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনার সময় আমি বিদ্যালয়ের কাজে বাইরে ছিলাম। পরে হোসনেয়ারা কর্তৃক তার সহকর্মী ফরিদা ইয়াছমীনকে মারধর করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।
সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন রেজা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ অস্বীকার করে বলেন, দুই শিক্ষিকার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে কে মূলত দোষি তা এখনও স্পষ্ট নয়। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার অভিযোগ পেলে পুনঃতদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।