বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা কর্তৃক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উল্যাকে মারধর করে লাঞ্ছিত করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নোয়াখালী জেলা বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক ওমর ফারুক টফি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
গত বুধবার বসুরহাটে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে কোম্পানীগঞ্জে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সংক্রান্ত কথপোকথনের এক পর্যায়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও রামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনছার উল্যাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানান। উল্লেখ্য, ভুক্তভোগীর অভিযোগ গত বুধবার দুপুরের দিকে তিনি বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাসী মরহুম দর্জি ওবায়দুল হকের কুলখানি অনুষ্ঠানে যান। এ সময় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। তিনি তাকে ওই অনুষ্ঠানে আসতে দেখে বসা থেকে উঠে অন্য একটি জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় কাদের মির্জা কতক্ষণ ওই স্থানে বসে থাকে। এক পর্যায়ে বসা থেকে উঠে এসে কাদের মির্জা আমাকে ভোট চুরির অভিযোগ তুলে মুখে থাপ্পড় মেরে দেয়। আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর আরও উত্তোজিত হয়ে উড়ে এসে আবার আমাকে আরেক থাপ্পড় দিয়ে গায়ে থেকে আমার চাদর ফেলে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের মির্জার ভাগনে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজিস সালেকিন রিমন বলেন, আমার ভোট করায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আনছার উল্যাহকে মারধর করে কাদের মির্জা। এ ঘটনা শুনতে পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি তাকে দেখতে যাই। এ ঘটনায় আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার সমর্থককে মারধর করায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজারে ঝাড়ু মিছিল হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো.সাজ্জাদ রোমন জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ দুই পক্ষকে বামনী বাজার থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন আমিসহ ৭ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে পুলিশ এ্যসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।