পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা মাওলানা মামুনুল হক লাঞ্ছিত হয়েছেন। এসময়ে ঐ রিসোর্টের একটি কক্ষে তার বৈধ স্ত্রীও অবস্থান করছিলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, গতকাল (শনিবার) দুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে যাই। জাদুঘর ঘুরে দেখে বিশ্রাম নেয়ার জন্য এখানে (রিসোর্টে) আসি।’
মাওলানা মামুনুল হক, ‘আমার বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা এখানে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য এসেছিলাম। এখানে অনেক উচ্ছৃঙ্খল লোক এসেছে। আপনারা দেখেছেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’ মাওলানা মামুনুল হক বলছেন, দ্বিতীয় স্ত্রীসহ রিসোর্টে অবকাশযাপনে গেলে কিছু লোক তাঁকে নাজেহাল করে।
স্থানীয় আলেমদের কাউকে জানিয়ে তিনি এখানে এসেছেন কি না, জানতে চাইলে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘না, আমি জানাইনি। যেখানে যাই মানুষজন ভিড় করে। এ জন্য আমি একটু আলাদা করে এসেছিলাম।’
বিকেলে ঐ রিসোর্টে ছাত্র লীগ-যুবলীগের কর্মীরা হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ঘেরাও করে রাখে। স্থানীয় পুলিশ বলছে, মাওলানা মামুনুল হক একজন নারীসহ এখানে অবস্থানের খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর কক্ষটি ঘেরাও করে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, এখানে মাওলানা মামুনুল হক একজন নারীকে নিয়ে উঠেছেন, এই খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মী তাঁর কক্ষটি ঘিরে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশও সেখানে ছুঁটে যায়। উপজেলা সহকারী কমিশনারও (ভূমি) সেখানে যান। পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত হন।
মাওলানা মামুনুল হককে ঘেরাওয়ের খবরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ‘রয়েল রিসোর্ট’ নামে ওই অবকাশ যাপনকেন্দ্রটিতে যান। সেখানে মাওলানা মামুনুল হক সংবাদকর্মীদের বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে অবকাশ যাপনে তিনি ওই রিসোর্টে যান। সেখানে তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে। মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘মাস্তান প্রকৃতির লোকেরা এসে আমাকে আমার ওয়াইফসহ নাজেহাল করেছে। আমাকে আক্রমণ করেছে।’আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। স্থানীয় আলেম ওলামা ও মাওলানা মামুনুল হকের ভক্তরা এ খবর পেয়ে চরমভাবে ক্ষুদ্ধ হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।