Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গোপনীয়তার মধ্যে কাশ্মীরে সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ৮:৪০ পিএম | আপডেট : ১২:০৬ এএম, ৯ অক্টোবর, ২০১৮

কাশ্মীরে সিটি নির্বাচনে সোমবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে স্থানীয় প্রধান পত্রিকাগুলোতে বিস্তারিত বিজ্ঞাপন দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সরকার। বিজ্ঞাপনে সরকার নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ থেকে নিয়ে, সেবা এবং আর্থিক বিষয়াদিতে তৃণমূলের অংশগ্রহন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এবং রাজ্যের নির্বাচন কমিশন পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে যেভাবে গোপনীয়তায় ঢেকে রেখেছেন, তার সাথে অবশ্য এই বার্তার কোন মিল নেই। ১৫ সেপ্টেম্বর চার ধাপের এই নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই এই গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটে অংশ নেয়া প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে তথ্য পুরোপুরি গোপন করা হয়েছে। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে মাঠে বা আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের ব্যাপারে কোন প্রার্থীই নেই। তাদের নামও এমনকি প্রকাশ করা হচ্ছে না, তারা পরিচিত হচ্ছেন নাম্বার দিয়ে। ভোটের কোন ক্যানভাসিং হচ্ছে না এবং কোন দলই তাদের প্রার্থীর পক্ষে একটিও মিছিল করেনি।
ভোটগ্রহণের ৪০ ঘন্টারও কম সময় আগে রাজ্য কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ কাশ্মীরে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ভোট শেষ হওয়ার পর ইন্টারনেট সংযোগ পুনর্বহাল করা হবে বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আঞ্চলিক বৃহত্তম দুই দল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের কারণে নির্বাচন বয়কট করেছে। সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের কাশ্মীরে জায়গা করে নিচ্ছে বিজেপি। এখন পর্যন্ত বিজেপি সেখানে পার্লামেন্টারি, অ্যাসেম্বলি বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন – কোনটাতেই জিততে পারেনি। কিন্তু এবারের নির্বাচনে এই রেকর্ড ভাঙ্গতে চলেছে।
বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর বলেছেন যে, তাদের দল ৮৪ মিউনিসিপ্যাল ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। তিনি আরও বলেন, এগুলোর মধ্যে অধিকাংশই দক্ষিণ কাশ্মীরে, যেখানে জঙ্গিবাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে।
উপত্যকার ৫৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪৪টিতে প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এর অর্থ হলো এই ওয়ার্ডগুলোতে একজন করে প্রার্থী ছিল এবং এখানে কোন ভোটগ্রহণ হবে না। এর বাইরে ১৬৭টি ওয়ার্ড রয়েছে, যেখানে কোন প্রার্থীই মনোনয়ন জমা দেয়নি। এই দুই ধরনের ওয়ার্ডগুলো মোট ওয়ার্ডের ৬৩%, যেখানে কোন ভোটগ্রহণ হবে না।
কিন্তু বিজেপি এবং কংগ্রেস যে সব মিউনিসিপ্যাল আসনে জিতেছে বলে দাবি করছে, সেগুলোর অর্ধেকেরও কম সংখ্যক ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছে। ফলে নির্বাচনের পরিণতি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক যে, অর্ধেকের বেশি সংখ্যক ওয়ার্ডে প্রার্থী না থাকলে সেখানে বিজয় দাবি করা আইনসম্মত হবে না। বরং নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তারা পুনর্নির্বাচনে যাবে, না-কি অন্য কোন ব্যবস্থা নেবে। সূত্র: এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ