Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে রুখতে রাশিয়ার সাবমেরিন কৌশল

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:১৯ এএম, ৯ অক্টোবর, ২০১৮

রাশিয়া পানির নিচে তার যুদ্ধক্ষমতা ব্যাপক বৃদ্ধি করছে যা আটলান্টিক ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরাল জেমস ফোগো এ হুঁশিয়ারি জানান। শুক্রবার ওয়াশিংটনে আটলান্টিক কাউন্সিলের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। নেপলসে ন্যাটোর যৌথ জয়েন্ট ফোর্সের কমান্ডার অ্যাডমিরাল জেমস ফোগো বলেন, রাশিয়া তার সাবমেরিন বহর উন্নয়নে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে যা যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, রাশিয়া ভালো করেই জানে যে, তারা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ও পানির উপরিভাগের যুদ্ধজাহাজের ব্যাপারে প্রতিযোগিতায় কুলিয়ে উঠতে পারবে না। তাই তারা পানির নিচের যুদ্ধজাহাজগুলোর ব্যাপারে গবেষণা ও উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। নবনির্মিত রাশিয়ার সাবমেরিনগুলো মার্কিন ও ন্যাটোর নৌবাহিনী ও সাবমেরিনের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, সমুদ্রের নিচে রাশিয়ার যে শক্তি রয়েছে, তা সত্যিকারের হুমকি। তিনি রাশিয়ার সাথে সাবমেরিন যুদ্ধ নিয়ে অনেক বেশি আতঙ্কিত। রাশিয়া বিভিন্ন ধরনের সাবমেরিন তৈরি করছে এবং সেগুলোকে অত্যন্ত ক্ষমতাধর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অস্ত্রসজ্জিত করার ঘটনায় উদ্বিগ্ন আমেরিকা। কারণ এগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও হামলার সক্ষমতা অত্যন্ত কার্যকর। তিনি আরো বলেন, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী এবং সাবমেরিন সক্ষমতাকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখে। তাই আমরা দেখেছি সব ধরনের সাবমেরিন ও জাহাজকে তারা নতুন করে তৈরি করছে। আমি সাবমেরিন যুদ্ধ নিয়ে অনেক বেশি আতঙ্কিত। ফোগো বলেন, বর্তমানে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ৬ কিলো-ক্লাস ‘ডিজেল-ইলেকট্র্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন’ রয়েছে। রাশিয়ার সাবমেরিনগুলো কোনো সময়ে কোথায় রয়েছে জানতে চাওয়া হলে সে বিষয়ে জানাতে অস্বীকার করেন তিনি। ফেগো বলেন, বিলেন, শ্রবণের প্রযুক্তির দিক থেকে আমরা এগিয়ে রয়েছি যা সাবমেরিনগুলোর অবস্থান নির্ণয়ে কাযকর। ফগো বলেন, রাশিয়ানরা ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র যদি ইউরোপের কাছাকাছি কোনো সমুদ্রে ব্যবহার করে তবে ইউরোপের কোনো কোনো রাজধানী তার পাল্লার আওতায় পড়তে পারে। তিনি নরওয়েতে আসন্ন ন্যাটোর সামরিক মহড়া সম্পর্কেও তিনি কথা বলেন। তিনি জানান, যেটি স্নায়ুযুদ্ধের পরে সবচেয়ে বড় ধরনের সামরিক মহড়া হবে। ফেগো বলেন, ‘ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সীমান্ত আক্রান্ত হলে, তার মোকাবেলার জন্য এই মহড়ায় সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ‘এখানে একটি শক্তিশালী বার্তা রয়েছে।’ ২০০৮ সালে রাশিয়া ইউরি ডলগোরুকি বরি-ক্লাস সাবমেরিন চালু করেছে এবং এই সাবমেরিন ১৬টি বুলাভা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এ ছাড়া রয়েছে পরমাণু শক্তিচালিত ইয়াসেন-ক্লাস অ্যাটাক সেভারোদভিনস্ক সাবমেরিন। এই সাবমেরিন ২০১৪ সালে রুশ বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। টেলিগ্রাফ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাবমেরিন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ