বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত ২০ আগস্ট বঙ্গোপসাগরের প্রবল তান্ডবে পানির তোড়ে বালু ক্ষয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে পড়া সমুদ্র থেকে উঠে আসা দেশের দ্বিতীয় সাব-মেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিংস্টেশনের আর্টিকুলেটেট পাইপ ঢেকে দেওয়ার কাজ শেষ করেছেন কর্তৃপক্ষ । গত ২১ও ২২ আগস্ট দুই দিন প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে কাজ করে গত ২২ আগস্ট রাতে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
কুয়াকাটায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় সাব -মেরিন কেবল ল্যন্ডিং স্টেশনের উপ -মহাব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলাম জানান, গত ২০ আগস্ট কুয়াকাটা সাগরের অস্বাভাবিক জোয়ারে ঢেউয়ে সৈকত সংলগ্ন পুলিশ বক্সের পার্শ্ববর্তী রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে যায় এবং সৈকতের বালি সরে গিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলধারী আর্টিকুলেটেড পাইপ (এপি)আনুমানিক ২৫ ফুট অংশ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে, এতে সাবমেরিন ক্যাবলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন হয়। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে উন্মুক্ত হয়ে যাওয়া আর্টিকুলেটেড পাইপ বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ বালি /সিমেন্ট মিশ্রিত বালি জিও ব্যাগে ভরে তা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটি একটি অস্থায়ী সমাধান হওয়ায় সাগরের অস্বাভাবিক জোয়ারের তোড়ে আবারো সাবমেরিন ক্যাবলের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়তে পারে।এছাড়াও সাগর পাড়ের ভাঙ্গন স্থায়ীভাবে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা না হলে এ ভাঙ্গন ক্রমাগত বিস্তার লাভ করে সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের বীচ ম্যানহোলটি হুমকির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।উল্লেখ্য বীচ ম্যানহোলটি কোন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। যাতে দেশের ইন্টারনেট ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, নিরবিচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কুয়াকাটা সাগর সৈকতে স্থাপিত আর্টিকুলেটেড পাইপ সংলগ্ন রাস্তা সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বিভাগ, পটুয়াখালী বরাবরে গতকাল রোববার একটি চিঠি প্রেরণ করেছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড( বিএসসিসিএল )কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, কুয়াকাটায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন এর সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের ইন্টারনেট সংযোগ ও ভয়েস ট্রান্সমিশনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে।বাংলাদেশে ব্যবহৃত ইন্টারনেটের সিংহভাগই বর্তমানে কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ।যা ব্যক্তিগত ,দাপ্তরিক, ও বাণিজ্যিক পর্যায় ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক সহ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই সরকারের রূপকল্প ২০২১ রূপায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।