পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবার পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো জম্মু ও কাশ্মীরে। এরইমধ্যে বিনা প্রতিদ্বদ্বীতাতেই জয় পেয়েছেন ২৪০ প্রার্থী। যাদের অধিকাংশই কাশ্মীরের। ক্ষমতাসীন বিজেপি জানিয়েছে, কাশ্মীরের সাতটি পৌরসভা কমিটিতে ক্ষমতায় এসেছে তারা। বিনা প্রতিদ্বদ্বীতায় তাদের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন ৭৫ জন। সোমবার চার দফায় অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট গ্রহণ করা হয়। যদিও এই নির্বাচন বয়কট করেছে রাজ্যের শক্তিশালী দুই দল ন্যাশনাল কনফারেন্স ও মেহবুবা মুফতির পিপল’স ডেমোক্রেটিক পার্টি। এদিকে, কাশ্মীরে সিটি নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরের সরকার স্থানীয় প্রধান পত্রিকাগুলোতে বিস্তারিত বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। যারা ভোটে অংশ নিবেন, তাদের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে এতে বলা হয়। সরকার বিজ্ঞাপনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ থেকে নিয়ে, সেবা এবং আর্থিক বিষয়াদিতে তৃণমূলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এবং রাজ্যের নির্বাচন কমিশন সমগ্র নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে যেভাবে গোপনীয়তায় ঢেকে রেখেছে, তার সাথে অবশ্য এই বার্তার কোন মিল নেই। ১৫ সেপ্টেম্বর চার ধাপের এই নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই এই গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটে অংশ নেয়া প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে তথ্য পুরোপুরি গোপন করা হয়েছে। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে মাঠে বা আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের ব্যাপারে কোন প্রার্থীই নেই। তাদের নামও এমনকি প্রকাশ করা হচ্ছে না, তারা পরিচিত হচ্ছেন নাম্বার দিয়ে। ভোটের কোন ক্যানভাসিং হচ্ছে না এবং কোন দলই তাদের প্রার্থীর পক্ষে একটিও মিছিল করেনি। আঞ্চলিক বৃহত্তম দুই দল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের কারণে নির্বাচন বয়কট করেছে। সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উপত্যকায় জায়গা করে নিচ্ছে বিজেপি। আজ পর্যন্ত বিজেপি সেখানে পার্লামেন্টারি, অ্যাসেম্বলি বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন- কোনটাতেই জিততে পারেনি। কিন্তু এবারের নির্বাচনে এই রেকর্ড ভাঙ্গতে চলেছে। বাস্তবে, এখনই তারা উদযাপনের মানসিকতায় রয়েছে। তাদের রাজ্য মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর বলেছেন যে, তাদের দল ৮৪ মিউনিসিপ্যাল ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বদ্বীতায় জিতেছে। তিনি আরও বলেন, এগুলোর মধ্যে অধিকাশংশই দক্ষিণ কাশ্মীরে, যেখানে জঙ্গিবাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।