Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুরনো তথ্য দিয়েই চলছে কুমিল্লা জেলা তথ্য বাতায়ন

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

পুরানো তথ্য দিয়েই চলছে কুমিল্লা জেলা তথ্য বাতায়ন। কুমিল্লা তথ্য বাতায়নের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায় সেখানে যেসব তথ্য রয়েছে তার অধিকাংশ কয়েক বছর আগে আপডেট করা হয়েছে। নতুন তেমন কোন তথ্য নেই বলেলই চলে।

জাতীয় তথ্য বাতায়নে বিভাগীয় শহর থেকে জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল অফিসের আপডেট তথ্য সংরক্ষিত থাকার কথা থাকলেও কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনের পাতাটি ব্যাতিক্রম। এখানে নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছে না তথ্য। ফলে তথ্য বাতায়ন ব্যবহারে অনেক ক্ষেত্রেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন কুমিল্লাবাসী। এদিকে বর্তমান সরকারের আমলে সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লায়ও ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ করছে সরকার। যে কারণে হাজার হাজার কোটি টাকার বরাদ্দও হচ্ছে। তথ্য বাতায়নে সরকারি বরাদ্দের উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়য়াদির ব্যাপারে কোন তথ্য না থাকার কারণে প্রতিযোগিতামূলক কাজে প্রকৃত ঠিকাদাররা দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। এই সুযোগে সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একটি সিন্ডিকেট কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে। এতে করে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠছে। যার কারণে সরকারের বিপুল উন্নয়নমূলক কাজে সুফল না পাওয়ায় ক্রমাগত ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ।

গতকাল শনিবার (৬ অক্টোবর) কুমিল্লা জাতীয় তথ্য বাতায়নের কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার পেইজে গিয়ে দেখা যায়, চান্দিনা পৌর মেয়র হিসেবে সাবেক মেয়র মোঃ আলমগীর খানের নাম ও ছবি দেয়া রয়েছে। অথচ ৩ বছর আগে নতুন পৌর মেয়র মফিজুল ইসলাম দায়িত্ব করলেও তার নাম তথ্য বাতায়নে উল্লেখ নেই। এমনি চান্দিনা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা আক্তারের নাম ও ছবি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তথ্য বাতায়নটি নিয়মিত আপডেট করা না হলেও চান্দিনা ইউএনও নামের একটি ফেইসবুক আইডি নিয়মিত সচল। অথচ সরকারের তথ্য ভান্ডার বাতায়নটিতে আপডেট হচ্ছেনা বছরের পর বছর। ৩ বছর আগে চান্দিনা পৌরসভার কাউন্সিলরদের নির্বাচন হলেও সাবেক কাউন্সিলরদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি আজও, নোটিশ বোর্ডে কোন আপডেট তথ্য নেই। নেই ইউপি চেয়ারম্যানদের কোন তথ্য।

এদিকে দাউদকান্দি উপজেলা তথ্য বাতায়নে গিয়ে যায়, ২০১৪ সালের পর নোটিশ বোর্ডটি আপডেট করা হয়নি। অনলাইন এ্যাপারমেন্ট গিয়ে দেখা যায়, পূর্বের নিবার্হী কর্মকর্তার নাম লিখা রয়েছে। মাসিক কর্মসূচির অপশানে গিয়ে দেখা যায়, ২০১৪ সালের পর সেখানে কোন নতুন তথ্য আপলোড করা হয়নি। পৌর মেয়রের তথ্য থাকলেও নেই কাউন্সিলদের নামের তালিকা। ইউনিয়ন চেয়ারম্যরদের নামের তালিকা যেটা রয়েছে সেটাও অনেক আগের। যারা ইতিমধ্যে চেয়ারম্যন নেই। উপজেলা কর্মকর্তার বার্তাটিও পূর্বের কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা তথ্য বাতায়নে গিয়ে যায়, নোটিশ বোর্ডে ২০১৪ সালের পর আপডেট নেই উপজেলা চেয়ারম্যনদের নাম থাকলেও তাদের সাথে যোগাযোগের কোন নাম্বার দেওয়া হয়নি। বুড়িচং উপজেলা তথ্য বাতায়নে গিয়ে যায় ২০১৪ সালের পর নোটিশ বোর্ডে আপডেট নেই। সর্বশেষ নোটিশে পূর্বের নিবার্হী কর্মকর্তার নাম লিখা রয়েছে। বার্তা বিভাগেও পূর্বের নিবার্হী কর্মকর্তার নাম লিখা রয়েছে। তিতাস উপজেলা তথ্য বাতায়নে গিয়ে যায়, উপজেলার চেয়ারম্যানদ্বয়ের ছবি ও যোগাযোগের কোন মাধ্যম সেখানে নেই। নোটিশ বোর্ডে পূর্বের নিবার্হী কর্মকর্তার নাম লিখা রয়েছে। নেই চেয়ারম্যানেদের নামের তালিকা। মুরাদনগর উপজেলা তথ্য বাতায়নে গিয়ে যায়, ২০১৩ সালের পর কোন নোটিশে আপডেট নেই। মেঘনা উপজেলা তথ্য বাতায়নে গিয়ে যায়, ২০১৩ সালের পর বার্তা ও নোটিশ কোন আপডেট নেই। হোমনা উপজেলা তথ্য বাতায়নে গিয়ে যায়, ২০১৫ সালের পর নোটিশ বোর্ডটিতে কোন আপডেট নেই।

এ ব্যাপারে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে এটা মোটেও কাম্য নয়। ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য বাতায়ন কেন্দ্রের দ্বায়িত্ব স্ব স্ব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের। তবে উপজেলা ও থানার ব্যাপারে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুমিল্লা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ