মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেনার চুক্তিতে সই করেছে ভারত। আরেক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরান থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়ার উপরে দেয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় চীনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে দ্বিধা না করলেও ভারতের বিষয়ে সুর নরম করে কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসলো যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তান ও চীনকে মোকাবিলায় রাশিয়ার থেকে এই সমরাস্ত্র কিনতে বদ্ধপরিকর ছিল ভারত। ভারত-রাশিয়া যৌথ বিবৃতিতেও ৬৮টি অনুচ্ছেদের মধ্যে এস-৪০০ চুক্তির উল্লেখ রয়েছে ৪৫-তম অনুচ্ছেদে।
৫৪৩ কোটি ডলার বা প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকার এই চুক্তির আগে ভারত প্রতিরক্ষা খাতে একসাথে এত বিশাল পরিমাণ অর্থ কখনো খরচ করেনি।
চুক্তির পরে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ জানানো হয়েছে, মার্কিন সহযোগী রাষ্ট্রগুলির ক্ষতি করা নিষেধাজ্ঞা আইনের উদ্দেশ্য নয়। আইনে নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড়ের যে ধারা রয়েছে, তাতে প্রতিটি চুক্তিকে আলাদা ভাবে খতিয়ে দেখা হয়। ফলে আগেই নিষেধাজ্ঞার উপরে কিছু বলা সম্ভব নয়।
সরকারি প্রোটোকল মানতে গিয়ে আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় সময় যাতে ‘নষ্ট না হয়’, সে জন্য বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছিল পুতিনের সফরে। রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠান বা রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাননি রুশ প্রেসিডেন্ট। তার পরিবর্তে শুক্রবার মোদীর সঙ্গে নৈশভোজে নির্ধারিত ৩০ মিনিটের বদলে তিন ঘণ্টা ধরে একান্তে আলোচনা করেন পুতিন।
রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থায় শত্রু দেশের যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন চিহ্নিত করে তাকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়। এর পাল্লা ৬০০ কিলোমিটার। যার অর্থ, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সব ঘাঁটিই ভারতের নাগালের মধ্যে চলে আসবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র একইসাথে ৭২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে, আঘাত হানতে পারে ৩৬টি টার্গেটে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান বি এস ধানোয়া দীর্ঘ ও মধ্যম পাল্লার এই আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে বিমান বাহিনীর শক্তি অনেক বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন। এটি স্টিলথ বিমান ও আকাশে থাকা অন্য যেকোনো লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে পারবে বলে তিনি বলেন। সূত্রঃ রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।