রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনসংযোগের অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জ ৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো: আফজাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার বাজিতপুর পৌর শহরে এক বিশাল জনসমাবেশ করেছেন। মাসব্যাপী একে একে উপজেলার মোট ১১টি ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ সম্পন্ন করে সর্বশেষ পৌর এলাকার বাঁশমহালে জাঁকজমকপূর্ণ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হলেও বাস্তবে ইউনিয়নের প্রত্যেকটি সমাবেশই জনসভায় পরিনত হয়।
বাঁশমহালে বিশালাকৃতির তৈরি নৌকার উপর সুদৃশ্য মঞ্চ বানানো হয়। দুপুর থেকেই রং-বেরঙের ব্যানার ও ফ্যাস্টুন হাতে বাদ্যবাজনা বাজিয়ে মিছিল সহকারে দলীয় কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ সমাবেশ স্থলে এসে পৌঁছেন। সামিয়ানা টানিয়ে বাজিতপুর বাজারের বিভিন্ন অলিগলি মনোরম সাজে সজ্জিত করা হয়।
আফজাল হোসেন এ আসনের দুই দুইবারের সংসদ সদস্য। উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের পর টানা ৩৬ বছর আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী এ আসনে বিজয়ের মুখ দেখেননি। আলোচিত আসনটি আওয়ামী বিরোধী শিবিরের দুর্ভেদ্য দুর্গ বলে পরিচিতি পায়। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্জ আফজাল হোসেন বিএনপি প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিরোধীদের সুরক্ষিত এ দুর্গ ভেঙে দিয়ে প্রথমবারের মতো আসনটি করায়ত্ব করেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্জ মস্তোফা কামালের সভাপতিত্বে সমাবেশে সংসদ সদস্য মো: আফজাল হোসেন ছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ছারওয়ার আলম, পৌর মেয়র মো: আনোয়ার হোসেন আশরাফ, আলহাজ্জ মোস্তাফিজুর রহমান মস্তু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা মো: শাহজাহান, মহিউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট শৈলেশ্বর দাস, মোবারক হোসেন মাস্টার, মো: রাজু মিয়া, সানোয়ার আলী শাহ সেলিমসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।