Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একটি মামলা ও কিছু কথা

মহিউদ্দিন খান মোহন | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একটি মামলা এখন দেশ জুড়ে আলোচনার বিষয়বস্তু। বলা যায় সবার মুখে মুখে ফিরছে সে মামলার কথা। পুলিশের দায়ের করা ওই মামলার উদ্দেশ্যে নিয়ে কারো প্রশ্ন না থাকলেও এর সত্যতা নিয়ে সবারই ঘোরতর সন্দেহ আছে। মামলাটি দায়ের করা হয়েছে গত ১ অক্টোবর রাজধানীর হাতিরঝিল থানায়। আর তাতে আসামি করা হয়েছে বিএনপি মহাসচিবসহ দলটির শীর্ষস্থানীয় সক্রিয় প্রায় সব নেতাকে। আসামির সংখ্যা অর্ধশতাধিক। পুলিশের পক্ষ থেকে এজাহারে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তিগণ গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিদর্লীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। নেতাদের বক্তব্যের পর রাত ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানার মগবাজার রেলগেট এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং জামায়াত-শিবিরের ৭০-৮০জন নেতাকর্মী জড়ো হন। তারা রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেন। পুলিশ জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ না করতে অনুরোধ করে। কিন্তু পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। এছাড়া দু’টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং একটি বাস ভাঙচুর করা হয়। এতে বাধা দিলে তারা লাঠি দিয়ে পুলিশকে মারধর করে। ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বর্তমান সরকারের আমলে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যখন তখন মামলা দায়ের নতুন কোনো বিষয় নয়। অনেক সময় মামলা দায়েরের ধরন দেখে মনে হয়, সম্ভবত কোটা পূরণের লক্ষ্যেই মামলাটি দায়ের কারা হয়েছে। তাই এর সত্যাসত্য বা সম্ভব-অসম্ভবের দিকটি চিন্তা করার ফুরসৎ পায়নি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা। আলোচ্য মামলাটিও সে শ্রেণিভূক্ত বলে ধরে নেয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কেননা, এখানে যাদেরকে আসামি করা হয়েছে, তারা সেদিনের সমাবেশে গাড়ি ভাঙচুরের উস্কানি দিয়েছেন এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

দীর্ঘ প্রায় এগার মাস পরে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছিল। চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে দলটির নেতাকর্মীরা সমবেত হয়েছিল স্বত:স্ফূর্তভাবে। সমাবেশে তাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মঞ্চে বেগম খালেদা জিয়া না থাকা সত্তে¡ও নেতাকর্মীদের এই বিপুল উপস্থিতি তাদেরকে উজ্জীবিত করেছে নিঃসন্দেহে। উৎফুল্ল নেতাকর্মীরা তাদের নেত্রীর মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দিয়েছে মুর্হুমুহু। সেদিন ওই সভামঞ্চ থেকে সাত দফা দাবি পেশ করা হয়েছে, যেগুলো অনেক আগে থেকেই বলে আসছে দলটি। সমাবেশে যারা উপস্থিত ছিলেন অর্থাৎ নেতাদের বক্তৃতা সরাসরি শুনেছেন, তারা কেউই বলেননি যে, গাড়ি ভাঙচুর বা সড়ক অবরোধের মতো কোনো উস্কানিমূলক বক্তব্য কেউ দিয়েছেন। তাহলে পুলিশ কেন এমন অভিযোগ আনল? এ প্রশ্নের উত্তর ছড়িয়ে আছে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে। যেখানে পুলিশ মৃত মানুষের বিরুদ্ধে ককটেল ছোড়ার অভিযোগে মামলা করে, সেখানে বক্তৃতায় যে যাই বলুক, তাকে উস্কানিমূলক আখ্যা দেয়া কোনো কঠিন কাজ নয়।

মামলাটি সম্পর্কে গত ৩ অক্টোবর একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট ছেপেছে প্রথম আলো। তাতে বলা হয়েছে, মগবাজার রেলগেট এলাকার লোকজন জানিয়েছে, পুলিশের বর্ণিত দিন ও সময়ে সেখানে অমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এমন কি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও ওই রকম কোনো ঘটনার কথা বলতে পারেন নি। তবে, ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব সরকার বলেছেন, ঘটনা ঘটেছে বলেই মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও ঘটনার কথা বলছেন না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি পত্রিকাটিকে বলেছেন, মানুষের ব্যক্তিগত ভিন্নমত থাকতেই পারে। তবে, ঘটনা ঘটলেই মামলা হয়। এ মামলা আইন অনুযায়ী চলবে। সবচেয়ে কৌতুকপ্রদ বিষয় হলো, পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুরের মামলা করলেও ক্ষতিগ্রস্ত একটি গাড়িরও রেজিষ্ট্রেশন নম্বর বলতে পারেনি।
ঘটনা ঘটলে মামলা হয় বা হতে পারে- এ কথার সাথে কেউ দ্বিমত করবে না। তবে, বর্তমান সময়ে এর উল্টোটা তো হরহামেশাই ঘটছে। ঘটনার নামগন্ধ না থাকলেও অলৌকিকভাবে মামলা হয়ে যাচ্ছে। আবার তাতে মৃত কিংবা প্রবাসে অবস্থানকারী ব্যক্তিরা আসামি হয়ে যাচ্ছে। এ যেন ভুতুড়ে ব্যাপার! বিএনপি এসব মামলাকে আখ্যা দিয়েছে ‘গায়েবি মামলা’। এ ধরনের মামলা শিকার হচ্ছেন বিরোধী দল বিশেষত বিএনপির সক্রিয় নেতাকর্মীরা। আর এসব মামলায় নামোল্লেখের পাশাপাশি থাকে অসংখ্য অজ্ঞাত আসামির নাম। ফলে মামলার সূত্রে যে কাউকে গারদে ঢুকিয়ে দেয়ার দ্বারটি একরকম অবারিতই থাকছে।

সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন সভা-সমাবেশ করে, তখন সেখানে বক্তৃতা হয় গরম গরম। সরকারকে দেখে নেয়ার হুমকিও থাকে। থাকে সরকারের বিরুদ্ধে একেক বক্তার একক রকম সমালোচনা। এসব গণতান্ত্রিক রাজনীতির অঙ্গভূষণ। সৌন্দর্যও বলা যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। ওখানে ছোট-বড়-মাঝারি যেসব নেতা বক্তৃতা করেছেন, তারা চড়া গলায় সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। আর এটাই তো স্বাভাবিক। তারা তো সরকারের স্তুতি গাইতে সেখানে যান নি। সরকারবিরোধী বক্তৃতা দিলেই যদি তা উস্কানিমূলক হয়, তাহলে তো টিভি টক শো’তে যারা সরকারের সমালোচনা করে কথা বলেন, তারাও একই অপরাধে অপরাধী হয়ে যাবেন! এই তো গত ৩ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বললেন,‘সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেয়া হয়েছে। এখন যারা কোটা ফেরত চাইবে তাদেরকে আন্দোলন করতে হবে।’ আমরা দেখলাম তার পরদিনই একদল যুবক শাহবাগ চৌরাস্তা দখলে নিয়ে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে। এখন এটা বলা কি যৌক্তিক হবে যে, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে আন্দোলনের জন্য উস্কানি দিয়েছেন? যদি কেউ এমন উদ্ভট কথা বলেও তা-কি কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হবে? তেমনি ৩০ তারিখের সমাবেশে বিএনপির কোনো কোনো নেতা তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন, রাজপথ দখল ইত্যাদি কথা বলে থাকতে পারেন। তাই বলে সেসব কথাকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উস্কানি আখ্যা দিয়ে মামলা ঠুকে দেয়াটা কতটা নৈতিকতাসম্পন্ন কাজ, সে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

এদিকে এ মামলা দায়েরের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশ তথা সরকারের এ আচরণ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করবে। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রেখে আরো একটি একতরফা নির্বাচন করার লক্ষ্যেই সরকার পরিকল্পিতভাবে এসব গায়েবি মামলা দায়ের করছে। রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিরা বিএনপির বক্তব্যকে যুক্তি নির্ভর বলেই মনে করছেন। তারা বলছেন যে, নির্বাচন যখন সন্নিকটে ঠিক তখন পুলিশের এ ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে নতুন জটিলতার আবর্তে ঠেলে দিতে পারে। কেউ কেউ মনে করছেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয়ও নেতাকর্মীরা যাতে নির্বাচনী কাজে নির্বিঘেœ অংশ নিতে না পারে, সেজন্য সরকার এসব মামলার জাল বিছিয়ে রাখছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত সাড়ে নয় বছরে দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ৯৫ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে, আর তাতে আসামির সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। কোনো কোনো নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে দেড় শতাধিক মামলা। বলা নিষ্প্রয়োজন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমন ঘটনা অভিপ্রেত বা কাঙ্খিত নয়, ক্ষমতাসীনদের জন্যও তা মর্যাদাকর নয়। সরকার যেখানে নিজেকে গণতান্ত্রিক বলে পরিচয় দিতে স্বস্তিবোধ করে, সেখানে পুলিশ হাজার হাজার মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে পর্যূদস্ত করতে চাইবে তা মোটেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এতে আর যাই হোক ক্ষমতাসীনদের গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায় না।

পুলিশ কর্তৃক ভুতুড়ে মামলার সমালোচনা করে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে কয়েকটি দৈনিক। গত ৩ অক্টোবর প্রথম আলো’র সম্পাদকীয় নিবন্ধে মন্তব্য করা হয়েছে-‘নির্বাচন সামনে রেখে অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তাদের এসব গায়েবি মামলা নির্বাচনের পরিবেশই শুধু ব্যাহত করবে না, সরকারকেও প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেবে।’ ৪ অক্টোবর দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়েছে-‘ নাগরিকদের মানবাধিকার সুরক্ষা, গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানমূলক রাজনৈতিক পরিবেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক- অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। হাজার হাজার মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রত্যাশিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ পথ পরিহার করতে হবে।’ একই দিনে একই বিষয়ে এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে দৈনিক সংবাদ মন্তব্য করেছে-‘হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য কোন দল নাশকতা করলে সরকার অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু যেখানে কোন ঘটনাই ঘটেনি, সেখানে মিথ্যা মামলা করা সমীচীন নয়। সরকারকে অবশ্যই পুলিশের এ প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।’ পত্রিকাটি এসব মামলা প্রত্যাহার এবং গায়েবি মামলা দায়েরের সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানিয়েছে।

পত্রিকার সম্পাদকীয় কিংবা নাগরিকগণ যত দাবিই তুলুন না কেন, এসব ‘করিৎকর্মা’ পুলিশ কর্মকর্তারা যে তিরষ্কৃত হবেন না, তা নিকট অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে বলে দেয়া যায়। বরং কর্তব্য পালনে ‘নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার’ জন্য তারা ভূষিত হতে পারেন নানা পুরষ্কারে। কিন্তু এই যে অসুস্থ মানসিকতা তা আমাদের দেশ, গণতন্ত্র, সর্বোপরি রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে কোন কৃষ্ণগহরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তা-কি আমরা খেয়াল করছি? একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আছে সাকুল্যে মাস তিনেক। একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা সবার। নির্বাচনে কারা জয়লাভ করবে, ক্ষমতায় যাবে সেটা ভিন্ন বিষয়। তবে নির্বাচনটি হতে হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ। আর সে রকম নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজন, তা সৃষ্টিতে সরকারের ভূমিকা হচ্ছে প্রধান। সরকার যদি তার গৃহীত পদক্ষেপ দ্বারা এটা প্রমাণ কতে পারে যে, দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বিঘ্নে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে, তাহলে পরিবেশ হয়ে উঠবে স্বস্তিদায়ক ও সুস্থ। এজন্য বিরোধী দলকে সরকারের আস্থায় নিতে হবে। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো উদ্যোগ বা মনোভাব দেখানো হয়নি। বরং ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ক্রমাগত বলেই চলেছেন, নির্বাচনে বিএনপি এলো কি এলো না, তাতে তাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। গত ৩ অক্টোবরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলেও উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। ওবায়দুল কাদেরের কথা হয়তো বা ঠিক। তারা হয়তো প্রধান প্রতিদ্বদ্বীর অনুপস্থিতিতে ভিন্ন রকম উৎসবে মেতে উঠতে পারবেন। কিন্তু তাতে যে নির্বাচনটি কারো কাছেই নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হবে না, সেটা কি তাদের উপলব্ধিতে আছে?

দেশবাসী একটি শান্তিপূর্ণ ও সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। সেজন্য প্রয়োজন এ মুহূর্ত থেকে পরিবেশের উন্নয়ন। আর তা করতে হলে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক পদক্ষেপ নেয়া অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিয়ে যে আশার আলোটি সরকার জ্বেলেছিল, মগবাজার রেলগেট মামলার আউলা বাতাস তাকে নিভিয়ে দিয়েছে। সরকারের উচিত বিষয়টি গভীরভাবে অনুধাবন করা। অন্তত গণতন্ত্র ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।



 

Show all comments
  • নাবিল আহমেদ ৬ অক্টোবর, ২০১৮, ৩:৫০ এএম says : 0
    অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কী আদৌ হবে ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামলা


আরও
আরও পড়ুন