বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার ধামরাইয়ে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করায় হত্যাসহ সাত মামলার আসামি হাসেম আলী ওরফে হাসমি নামে এক যুবক গণপিটিুনিতে নিহত হয়েছে। এসময় এলাকাবাসী নাইম ও জহিরুল ইসলাম নামে আরও দুইজনকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটকরা হলো একই গ্রামের তুলা মিয়ার ছেলে নিহত হাসেমের ফুফাত ভাই নাইম (২১) ও সাটুরিয়া উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৮) ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর গ্রামে। তবে পরিবারের দাবি হাসমিকে মুঠো ফোনে ডেকে নিয়ে দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে হাসেম আলী ওরফে হাসমি তার কয়েকজন সহযোগি নিয়ে কয়েকদিন আগে শ্রীরামপুর গ্রাফিক্স টেক্সটাইলের সামনে হোটেল ব্যবসায়ী জাহিদ ও চা বিক্রেতা সুমনের কাছে চাঁদা দাবি করে। পরে ভয়ে জাহিদ ৫ হাজার টাকা ও সুমন ১০ হাজার টাকা তাদের দিয়ে দেন। এরপর গত বুধবার রাত আটটার দিকে হাসমি ও তার সহযোগি নাইম, জহিরুলসহ কয়েকজন ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে ব্যবসায়ী বিশু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বিশু মিয়ার ছেলে আব্দুল হালিম জানান, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তার মা সুফিয়া খাতুনকে তারা মারধর করে। এসময় তারা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দেন এবং নাইম ও জহিরুল নামে দুইজনকে আটক করে। অপর দিকে হাসমি পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন তাকেও আটকের পর গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে এবং গুরুত আহত হাসমিকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।