বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ব্যাংকগুলোর খাতা কলমে ঋণ আছে। কিন্তু বাস্তবে নেই। বিদেশ গমনেচ্ছুকরা ঋণ পেতে গেলে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংকের শাখা ম্যানেজাররা নানা অজুহাতে ফিরিয়ে দেয়। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলো জানায় তারা এ ধরণের গ্রাহক পায় না বলে ঋণ দেয় না। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে এমন চিত্র উঠে আসে।
বিদেশি গমনেচ্ছুকদের খাতা কলমে ঋণ দেয় সাতটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে আছে পূবালী, উত্তরা, এনআরবি ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক। তবে বাস্তবে বিদেশে গমেনেচ্ছুক শ্রমিকদের জন্য বিশেষায়িত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ছাড়া বাকি ছয় ব্যাংকই ঋণ দেয় না।
এসব ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী প্রবাসী গমনেচ্ছুকদের নয় শতাংশ হারে বিনা জামানতে ঋণ দেওয়া হয়। ঋণের পরিমাণ এক লাখ টাকার উপরে হলে সুদের হার হওয়ার কথা ১১ শতাংশ। দুই বছর মেয়াদে প্রবাসী আয় থেকে নির্দিষ্ট কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করা হয়। বৈধ ভিসার বিপরীতে এ ঋণ দেওয়ার কথা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক অনুসন্ধানে জানতে পারে এবং ব্যাংকের প্রোডাক্ট (ঋণের ধরণ) হিসাবে প্রবাসী কল্যাণ ঋণ উল্লেখ থাকলেও কোনো ঋণ দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে রাষ্ট্রায়াত্ত¡ ব্যাংকগুলোর শাখা ম্যানেজাররা ঝুঁকি নিতে চান না। কোন গ্রাহক এলেও তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান।
ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ধরণের ঋণ জামানতহীন নয়, এ ঋণের জামানতসহ চালু করতে হবে। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর বিদেশগামী কর্মীদের জন্য এই ঋণের খাত থাকলেও টাকা দেয়া হয় না। ব্যাংকগুলোর দাবি, তারা গ্রাহক পায় না।
তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বৈধ ভিসার বিপরীতে ঋণ দিয়ে থাকে। ব্যাংকটি ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত মোট পাঁচ হাজার ৫৮৪ জনকে ৭১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। ঋণ ফেরত আসার হারও ভাল। বিতরণ করা ঋণের মধ্যে এ পর্যন্ত খেলাপির হার সাত শতাংশ।
প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে সরকার বিদেশ গমেনেচ্ছুকদের জন্য ঋণ চালু করে। এ জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকও প্রতিষ্ঠা করে। বিদেশমুখি মানুষকে বিদেশে যাওযার জন্য যাতে ভিটে মাটি বিক্রি করতে না হয় এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ আসে সে উদ্দেশ্যে থেকেও সরকার এ কার্যক্রম শুরু করে।
এ উদ্দেশ্য থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও প্রবাসী ঋণ চালু করতে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়াত্ত¡ ব্যাংকগুলোকে এ ধরণের ঋণ চালু করতে নির্দেশ দেয়া হয় সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০১০-১১ প্রবাসী আয় আসে ৮২৯ দশমিক ৯১ বিলিয়ন টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে আসে এক হাজার ০১৮ দশমিক ৮২ বিলিয়ন; ২০১২-১৩ অর্থবছরে আসে এক হাজার ১৫৬ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন; ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এক হাজার ১০৫ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন; ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এক হাজার ১৮৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন; ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এক হাজার ১৬৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন টাকা।
এর পরের বছরেই প্রবাসী আয় কমে যায়। ওই বছরে আসে এক হাজার ১০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন টাকা। এরপর ২০১৭-১৬ অর্থবছরে নানামুখি উদ্যোগ নেওয়ার পর কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ২৩১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।