Inqilab Logo

বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতে ছেলে হত্যার বিচার পেতে হিন্দু হলেন মুসলিম বাবা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

মুসলিম বলেই কি ছেলের হত্যার সুবিচার পাচ্ছেন না? ছেলের হত্যাকে পুলিশ আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছে? এই প্রশ্নগুলোই কুরে কুরে খাচ্ছিল আখতারকে। আর ততই তিনি হতাশ হচ্ছিলেন। সুবিচার পেতে তাই একেবারে ধর্ম পরিবর্তনের রাস্তা বেছে নিলেন। রীতিমতো হলফনামা দিয়ে মহকুমা শাসকের কাছে সে কথা জানিয়েও আসেন আখতার। আর এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠে গেল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
ভারতের উত্তর প্রদেশের বাগপতের বরারখা জেলার বাসিন্দা আখতার। মাসখানেক আগে তার ছেলে গুলহাসানের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে। পরিবারের অভিযোগ ছিল, ছেলেটিকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগও করেন আখতার। কিন্তু পুলিশ খুনের অভিযোগ না নিয়ে সেটাকে স্রেফ আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মামলা রুজু করে। প্রচন্ড হতাশ হন আখতার। শেষমেশ ছেলের হত্যার সুবিচার পেতে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন আখতার ও তার পরিবারের ১২ জন সদস্য।
বাগপতের জেলাশাসক ঋষিরেন্দ্র কুমার জানান, পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে আখতার ও তার পরিবার ধর্ম পরিবর্তন করে বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রীতিমতো যজ্ঞ করে ধর্ম পরিবর্তনের আয়োজন করে যুব হিন্দু বাহিনী। রাজ্যের যুব হিন্দু বাহিনী (ভারত)-র প্রধান সৌখেন্দ্র খোখার বলেন, “হিন্দু রীতিনীতি মেনেই নাম পরিবর্তন করেছেন আখতারের পরিবার। যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল।” তিনি আরও জানান, খুনের প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিয়ে পুলিশ সেটা আত্মহত্যা বলে মামলা রুজু করায় আখতার প্রচন্ড হতাশ হয়েছিলেন।
শুধু তাই নয়, স্বধর্মের লোকেদের কাছে সাহায্যের আশায় ছুটে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয় তাকে। কেউই তার পাশে দাঁড়াতে চাননি। এক দিকে পুলিশের ভূমিকা এবং অন্য দিকে স্বধর্মী লোকেদের আচরণ, এই দুই কারণে আখতার প্রচন্ড অসহায় হয়ে পড়েন আখতার। আর সেই কারণেই ধর্ম পরিবর্তন করেন তিনি ও তার পরিবার।
এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। বাগপতের জেলাশাসক ঋষিরেন্দ্র কুমার জানান, জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।



 

Show all comments
  • গোলাম কিবরিয়া ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ২:২৯ এএম says : 1
    এটাই হয়তো ভারতের আসল চিত্র
    Total Reply(0) Reply
  • হাবিব ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ২:২৯ এএম says : 0
    আবার ওই দেশের নেতারা বাংলাদেশের সংখ্যলঘুদের অধিকার নিয়ে কথা বলে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ