Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘নারায়ণগঞ্জে নাশকতাকারী বানানোর অপচেষ্টা’

পুলিশের মামলা বিশ্বাস করছে না সাধারণ মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নারায়ণগঞ্জে নাশকতাকারী চিহ্নিত করে পুলিশ ২২টি নাশকতার পরিকল্পনার জন্য ২২টি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতারও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ফলে কথিত নাশকতাকারীদের উত্থানে নারায়ণগঞ্জে দেখা দিয়েছে জনমনে আতঙ্ক। জেলাবাসী বলছেন, আগামী দিনগুলোতে কি আমরা নিরাপদ থাকতে পারব ? ২২ মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার আসামী সনাক্ত করেছে। এটি তো একটি জেলার জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর তথ্য।
তবে স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন যাদের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। এসব মামলায় সাধারন মানুষ, মৃত ব্যক্তি, প্যারালাইসিস রোগী, ব্যবসায়ীদেরও আসামী করা হয়েছে। যারা প্রকৃতপক্ষে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
নাগরিক কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, এসবই ভুয়া মামলা। ভুয়া মামলা দিয়ে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক নেতাদের নাশকতাকারী বানানোর অপচেষ্টা হিতে বিপরীত হবে। আমি মনে করি, সরকারকে এ মুহুর্তে জনস্বার্থে ও জনগনের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে তাদের বর্তমান ইমেজকে জনবান্ধব করার পথে হাটা। নারায়ণগঞ্জের সাধারন ভোটাররা পুলিশের দায়ের করা মামলাগুলো বিশ্বাস করছে না। যার ফলশ্রুতিতে সরকারি দলের ভোট ব্যাংক বিপরিতমুখী অবস্থান নিচ্ছে।
বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এমন অপকৌশল কখনো দেখিনি। আসলে রাজনৈতিক গ্রামার বুঝতে পারছি না। পুলিশ, মামলা ও নাশকতাকারী বানানোর পরিকল্পনায় পজেটিভ ফল বয়ে আনবে সে গ্রামারই বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। সরকারি ছকেই আমাদের ওপর এ ধরনে গায়েবী মামলা দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনকালীন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রাখতেই বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে পুলিশ। একটি বিষয় লক্ষ্য করুন, বাংলাদেশের কোন জেলায়ই নারায়ণগঞ্জের মত এত গায়েবী মামলা কিন্তু হচ্ছে না। একটি বিশেষ জেলার পুলিশ সুপার যোগদানের পর বাংলাদেশের সকল জেলা থেকে তিনি মামলা দায়েরে প্রথমস্থান অধিকার করেছেন।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, রাজনীতির গতিপ্রকৃতি এখন পুলিশ কেন্দ্রিক। আমিও একজন নাশকতাকারী হিসেবে মামলা খেয়েছি। আমাদের জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি লন্ডনে অপারেশনের পর হাসপাতাল বেডে শুয়েও নাশকতার মামলায় আসামী। পবিত্র হজ¦ পালনে যেয়ে তারাব পৌর বিএনপির সভাপতি নাছির নাশকতার মামলার আসামী। সোনারগা থানা বিএনপি সভাপতিও হজ্ব পালনকালিন নাশকতা করেছেন বলে পুলিশ মামলায় উল্লেখ করেছে। আসলে নাশকতা ও জঙ্গি বানিয়ে দেশকে বিশ্বের দরবারের জঙ্গি রাষ্ট্র চিহ্নিত করতে চাচ্ছে বর্তমান সরকার। জঙ্গি দমনের নামে আবারও ক্ষমতায় যেতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। শেষ সময়ে এসে পুলিশ দিয়ে জনগনকে নিয়ন্ত্রন করতে চাচ্ছে। পুলিশ বর্তমান সরকারের এ ফাঁদে পা দিয়ে নিজেরাই নিজেদেরকে জনগনের সামনে বিতর্কিত করছে। এর দায় একদিন পুলিশ বাহিনীকেই নিতে হবে। তখন আর তাদের পাশে থাকবে না আওয়ামীলীগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাশকতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ