Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জ্বালানি সঙ্কটে ৪ লাখ মানুষ

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দরে ভাসমান দুটি ডিপোতে ৪ মাস ধরে ডিজেল সরবরাহ না করায় জ্বালানী সঙ্কটে ভুগছে এলাকার প্রায় ৪ লাখ কৃষকসহ ভুক্তভোগী মানুষ। কোম্পানীর কিছু অসাধু কর্মকর্তা সরবরাহ বন্ধ রেখে ডিপো সরিয়ে নেয়ার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও ফল না পাওয়ায় হতাশ ডিলার ও স্থানীয়রা। কুড়িগ্রামের চিলমারী নদী বন্দরে ১৯৮৯ সালে থেকে ভাসমান ডিজেলের ডিপো পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিনটি কোম্পানী নারায়ণগঞ্জের গোদানাইল থেকে ডিজেল সরবরাহ করে আসছিল। এতে করে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুরসহ ব্রহ্মপুত্র নদের শত-শত চরের কয়েক লাখ কৃষক সেচসহ হাজার-হাজার ইঞ্জিন চালিত পরিবহনের চাহিদা মিটিয়ে আসছে। বেশ কয়েক বছর আগে পদ্মা অয়েল কোম্পানী তাদের বার্জ মেরামতের অজুহাত দেখিয়ে সরিয়ে নেয়। এরপর থেকে মেঘনা ও যমুনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ডিজেল সরবরাহ করলেও গত ৪ মাস থেকে তারা জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
স্থানীয়রা ডিপো অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে ডিপো স্থায়ীকরণ ও তেল সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চিলমারীর তেল ব্যবসায়ী সমিতি ও স্থানীয় কৃষকরা। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ডিপো দুটি সরিয়ে নেবার অভিযোগ করে ডিলাররা জানান, গত ৪মাস যাবৎ অজানা কারণে তেল ডিপো দু’টি তেল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। যমুনাতে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ লিটার এবং মেঘনাতে ধারণ ক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৪লাখ লিটার। গেল বছর যমুনা বার্জে প্রায় ৬২লাখ এবং মেঘনাতে ১০লাখ লিটার ডিজেল বিক্রি করে প্রায় ৫শতাধিক সাব ডিলারের মাধ্যমে।
ভাসমান তেল ডিপো দু’টির অনুমোদিত ২২জন ডিলার প্রতি লিটার তেল ৬২ টাকা ৫১ পয়সায় ক্রয় করে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। তারা প্রতি লিটার তেল বিক্রি করেন ৬৫ টাকায়। ডিপো দু’টি তেল না থাকায় পার্বতীপুর থেকে সড়কপথে তেল পরিবহনে এক লড়ি বা ৯ হাজার লিটার তেল আনতে অতিরিক্ত খরচ হয় প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার টাকা। যা প্রতি লিটারে প্রায় ১ টাকা ৭৫ পয়সা বেশী। এতে করে ডিলাররা তেল কিনছে ৬৪টাকা ২৬ পয়সায়। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৬৭/৬৮টাকায়।
এ ব্যাপারে যমুনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাফাজ্জল হক জানান, জাহাজ সংকটের কারণে তেল সরববরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। জাহাজের সিডিউল না মেলায় ডিজেল আসতে সময় লাগছে। তবে তিনি বার্জ দুটি উঠিয়ে নেবার ব্যাপারে কিছুই জানেন না। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ডিপোগুলোতে ডিজেল না থাকার বিষয়ে অভিযোগ পাবার কথা স্বীকার করে জানান, সঙ্কট দূর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জ্বালানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ