Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদে মানুষের বাস শুরু ১০ বছরে!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৮:০৯ পিএম

আগামী দশ বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষের বসবাসের উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে টোকিও ভিত্তিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান শিমিজু কর্প। চাঁদে পাওয়া গেছে জীবন ধারনের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পানি। রয়েছে অফুরন্ত জ্বালানী পাওয়ার সম্ভাবনা।

টোকিও-ভিত্তিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান শিমিজু কর্পের মুখপাত্র হিদেও ইমামুরা জানান, ‘‘আমরা সেই ১৯৮৭ সাল থেকে চাঁদে বসতি স্থাপনের চিন্তা শুরু করেছি৷ আমরা তখন থেকেই বিশ্বাস করি, এমন এক দিন আসবে যখন মানুষ চাঁদে বাস করতে শুরু করবে৷'' তিনি জানান, “এই মুহূর্তে তিনটি লক্ষ্য মাথায় রেখে কাজ করছে তাঁর প্রতিষ্ঠান৷ প্রথমত, চাঁদে লঞ্চ প্যাড এবং সংশ্লিষ্ট অন্যসব অবকাঠামো নির্মাণ করা৷ দ্বিতীয়ত, স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া আবহাওয়া ও টেলিকমিউনিকেশন সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া৷ তৃতীয়ত, চাঁদের পৃষ্ঠে সঠিকভাবে কাজ করবে এমন নির্মাণপ্রযুক্তি ও যন্ত্র নির্মাণ করা৷”

গবেষকরা এখন চাঁদের মাটির সাথে চাঁদের বরফগলা পানি মিশিয়ে বিশেষ ধরনের ‘চন্দ্র কংক্রিট' তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন৷

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চাঁদে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জমাটবাঁধা পানি এবং পর্যাপ্ত লৌহের উপস্থিতি রয়েছে৷ এছাড়া রয়েছে হিলিয়াম-৩ গ্যাসের উপস্থিতি, যা কেবল চাঁদেই পাওয়া যায়৷ এই গ্যাসকে সহজেই নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রযুক্তির মাধ্যমে জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগানো সম্ভব বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানিরা৷

শিমিজু প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আরো একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে৷ পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে চাঁদকে সৌরবিদ্যুত প্ল্যান্ট হিসেবে কাজে লাগাতে চায় তাঁরা৷ সোলার প্যানেল দিয়ে চাঁদের ৪০০ কিলোমিটার ঘিরে ফেলতে চায় শিমিজু৷ এই প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন বিদুৎ সংগ্রহ করা হবে পৃথিবীতে৷ এই পরিকল্পনার নাম দেয়া হয়েছে ‘লুনা রিং'৷ এই লুনা রিংয়ের মাধ্যমে ১৩ হাজার টেরাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷

২০০৯ সালে জাপানের মহাকাশযান কাগুইয়া চাঁদে গিয়ে ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকন, ক্যালসিয়াম, টাইটেনিয়াম ও আয়রনের উপস্থিতি শনাক্ত করে, সংগ্রহ করা হয় কিছু নমুনাও৷ এর ফলে বাণিজ্যিকভাবে খনিজ আহরণের সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়৷

নাসার তোলা ছবিতে পরিষ্কার দেখা যায় যে, চাঁদে বরফ আছে৷ চাঁদ গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ যন্ত্র এম-৩ সম্প্রতি তিনটি রাসায়নিক চিহ্ন বের করে নিশ্চিত করেছে বরফ আকারে পানি থাকার বিষয়টি৷

জাক্সার সাথে কাজ করছে আরেক প্রতিষ্ঠান- কাজিমা৷ পৃথিবী থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এমন কিছু নির্মাণ যন্ত্র এরই মধ্যে চাঁদে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরুর করেছে তাঁরা৷ পৃথিবীতে বেশকিছু নির্মাণকাজে দূরনিয়ন্ত্রিত ট্রাক ও বুলডোজার ব্যবহার করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি৷ প্রতিষ্ঠানটির গবেষকদের বিশ্বাস, পৌনে চার লাখ কিলোমিটার দূরেও কাজ করবে তাঁদের এই প্রযুক্তি৷ সূত্রঃ ডয়েচ ভ্যালে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাঁদে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ