নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তীব্র গরম ও আর্দ্রতায় ৫ দিনের মধ্যে ৪টি ম্যাচ। মাঠেই প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কয়েকজন। আফগানিস্তান ম্যাচের পর তাই বাংলাদেশ দল চেয়েছে দুটি দিন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে। ম্যাচের আগের দিনও ছিল কেবল ঐচ্ছিক অনুশীলন। বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ছিলেন হোটেলে। হালকা জিম করে আর বিশ্রাম নিয়ে কাটিয়েছেন সময়। সেখানেই সাংবাদিকদের মাশরাফি বিন মুর্তজা দেখিয়েছিলেন বাস্তবতা, বলেছিলেন ‘শরীর ভেঙে পড়লে শুধু মন দিয়ে চলে না’। একদিন পর সেই বাস্তবতাই ধরা দিলো বাংলাদেশ শিবিরে। অলিখিত সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। স্বপ্নের ফাইনাল নিশ্চিতের এই ম্যাচে শারীরিক অক্ষমতায় খেলাই হয়নি দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সাকিব আল হাসানকে!
বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, শারীরিক সামর্থ্যরে এতটা কঠিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আগে কখনই পড়তে হয়নি। দুপুরের খাবারের জন্য যখন হোটেল থেকে বের হলেন মাশরাফি, তখনও হাঁটছিলেন একটু খুঁড়িয়ে। পায়ে বেশ ব্যথা। এ রকম ব্যথা বা কিছু না কিছু সমস্যা আছে প্রায় সবারই। আঙুলের চোট নিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে এসেছিলেন সাকিব। ব্যথানাশক নিয়ে সামলে নিচ্ছিলেন নিজেকে। শীর্ষ এই অলরাউন্ডারের আঙুলের ব্যথা নতুন করে বেড়েছে, আঙুল ফুলে গেছে বলে জানিয়েছেন দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।
গতকাল আবু ধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার আগে ওয়ার্মআপ করতে দেখা যায়নি সাকিবকে। পরে অনুমিতই ভাবেই একাদশে পাওয়া যায়নি তার নাম। পরে দলের ম্যানেজার সুজন সাংবাদিকদের জানান, ‘সাকিবের আঙুলে প্রচুর লিকুইড জমেছে, আঙুল অনেক ফুলে আছে। সে ব্যাট ধরতে পারছে না। গতকালের পরীক্ষার পর রিপোর্ট ভাল আসেনি। তাই আজ (গতকাল) খেলছে না।’
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাঁহাতের কনিষ্ঠা আঙুলে চোট পান সাকিব। ওই চোট থেকে ফিরে নিদহাস কাপ, আফগানিস্তান সিরিজ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ খেললেও চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের দরকার দেখছেন সাকিবের। ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া সাকিবকে এশিয়া কাপের পরই অস্ত্রোপচারের অনুরোধ করেছিলেন বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান। এশিয়া কাপে চার ম্যাচ ঠিকঠাক খেললেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ফের চোটে পড়ে ছিটকে গেলেন তিনি।
২০১৪ সালের এশিয়া কাপে সর্বশেষ হয়েছে ঘটনাটা। একই ওয়ানডেতে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের সাথে সেই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তার চার বছর পর সেই এশিয়া কাপেই পাকিস্তানের সাথে অঘোষিত সেমিফাইনালে এই দুজনকে ছাড়া নামল বাংলাদেশ। তামিম টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই ছিটকে পড়েছিলেন। সাকিবও খেলছিলেন চোট নিয়ে। এই বছরের শুরুতে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে যে চোট পেয়েছিলেন, সেটা থেকে এখনও সেরে উঠতে পারেননি পুরোপুরি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও চোট নিয়ে খেলেছিলেন।
সাকিবের জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে ব্যাটসম্যান মুমিনুল হককে। তবে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেন নি তিনিও। দলে বদল হয় আরও দুটি। টানা তিন ম্যাচে রান না পাওয়া ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় প্রায় এক বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামছেন সৌম্য সরকার। তিনিও দিয়েছেন ব্যর্থতার পরচিয়। এছাড়া বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর জায়গায় একাদশে ফিরেছেন পেসার রুবেল হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।