মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ও ফার্স্টলেডি ন্যান্সি রিগ্যানের মেয়ে প্যাটি ডেভিস ধর্ষিত হয়েছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক প্রবন্ধে তিনি এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, এখন থেকে ৪০ বছর আগে সুপরিচিত একজন মিউজিক এক্সিকিউটিভ তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মনোনয়ন দিয়েছেন বিচারক ব্রেট কাভানাকে। তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন ক্রিস্টিন ব্লাসি ফোর্ড। ফোর্ডকে বৃহস্পতিবার সিনেটে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। কেন ফোর্ডের মতো অন্যরা যৌন নির্যাতিত হয়ে পুরোপুরি মনে রাখতে পারেন না সে বিষয়টি জানিয়ে তিনি ওয়াশিংটন পোস্টে শুক্রবার একটি মতামত কলাম লিখেছেন।
এর শিরোনাম ‘আই ওয়াজ সেক্সুয়ালি অ্যাসল্টেড। হেয়ার ইজ হোয়াই আই ডোন্ট রিমেম্বার ম্যানি অব দ্য ডিটেইলস’। ডেভিস এতে বলেছেন, তিনি একটি গান লিখেছিলেন। সেই গানটি সঙ্গীত বিষয়ক বিখ্যাত গ্রুপ ঈগলসের ‘ওয়ান অব দিজ নাইটস’ অ্যালবামে প্রকাশিত হয়েছে ১৯৭৫ সালে। তখন সঙ্গীত জগতের একজন বিখ্যাত নির্বাহী বা এক্সিকিউটিভ তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। অনেকেই হয়তো এটাকে ধর্ষণ হিসেবে মনে করতে পারেন। ডেভিস ওই সময় একজন গীতিকার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। লিখেছেন, তিনি ওই এক্সিকিউটিভের সাক্ষাত পান তার অফিসে। তার এপয়েন্টমেন্ট তিনি পেয়েছিলেন কর্মদিবসের শেষের দিকে। এমন শিডিউল দেয়া সন্দেহজনক বলে মনে করেন ডেভিস। কি নিয়ে সেখানে তাদের মিটিং হয়েছিল তাও তিনি মনে করতে পারেন না। তবে ওই ব্যক্তির মুখাবয়ব, চুল, পোশাক তাকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। তা ছাড়া ওই নির্বাহী তাকে কোকেনের প্রস্তাবও করেছিলেন। ডেভিস লিখেছেন, এর পরে কি ঘটলো! তিনি রুমটির ভিতর এদিক ওদিক হাঁটতে লাগলেন। একটি গাঢ় নীল রঙের কার্পেট ছিল সেখানে। তা সত্ত্বেও তিনি যখন পা ফেলছিলেন তাতে বিকট শব্দ হচ্ছিল। আমার পিছনে গিয়ে দাঁড়ান তিনি। আমার ওপরে যেন উঠে দাঁড়ান। অতি দ্রুততার সঙ্গে তিনি তার হাত ঢুকিয়ে দেন আমার স্কার্টের নিচে। তার মুখ নামিয়ে আনেন আমার মুখের ওপর। এতে আমি যেন জমে যাই। আমাকে শুইয়ে দেয়া হলো। তারপর তিনি আমার শরীরের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেন। আমার শরীরে তার আপত্তিকর অঙ্গ এসে উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। আমি তার নিচে পড়েই চিৎকার করলাম। তার নিশ্বাসে কফির মতো ঘ্রাণ। তিনি কোনো কনডম ব্যবহার করেন নি। কিভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম তা স্মরণ করতে পারি। গাড়ি চালিয়ে বাসায় এলাম। রাতটা আমি স্ট্রিটলাইটের দিকে তাকিয়ে এবং বারে রাতের খাবার খাওয়া জীবন্ত মানুষগুলো দেখে কাটালাম। নিজের কাছে নিজেকে নিঃসঙ্গ, লজ্জিত ও বিধ্বস্ত মনে হতে লাগলো। সূত্রঃ ওয়াশিংটন পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।