এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে ‘এফ’ গ্রæপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ শক্তিশালী ভিয়েতনামকে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ কিশোরী দল। কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এর আগে একই ভেন্যুতে সকাল সাড়ে ১১টায় দিনের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত।

টুর্নামেন্টের বাছাই পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে গ্রæপ সেরার লড়াইয়ে শীর্ষে আছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের জালে ২৫ বার বল পাঠিয়েছে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। সমান পয়েন্ট নিয়ে একই অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামও। দু’দলের গোল ব্যবধানও সমান। তাই আজকের বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম শেষ ম্যাচটি ‘অঘোষিত ফাইনালে’ পরিণত হয়েছে। এ ম্যাচ জিতে বাছাইয়ের ‘এফ’ গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই টুর্নামেন্টের চুড়ান্ত পর্বে খেলতে বদ্ধপরিকর লাল-সবুজের কিশোরীরা। ভিয়েতনামের লক্ষ্যও একই। স্বাগতিকদের সঙ্গে তাদের সমান তালে এগিয়ে যাওয়াই প্রমাণ করে শেষ ম্যাচে তারা বাংলাদেশকে ছেড়ে কথা বলবে না।

তবে বাছাই পর্বের শুরু থেকেই গ্রæপের একমাত্র শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে ভিয়েতনামকেই মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ। মাঠের লড়াইয়ে সেটাই প্রতিফলিত হচ্ছে। তাই আজ কোন দলই নির্ভার হয়ে মাঠে নামতে পারছে না। শুক্রবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভিয়েতনাম যেখানে লেবাননকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ একই ব্যবধানে হারায় আরব আমিরাতকে। যদি এ ম্যাচে স্বাগতিকরা ৮-০ গোলের জয় পেত তাহলে ভিয়েতনামের বিপক্ষে অনেকটা নির্ভার থেকেই মাঠে নামতে পারতো। সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রয়োজন থাকতো ড্র। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকলে এক পয়েন্ট পেলেই গ্রæপ সেরা হয়ে আগামি বছর থাইল্যান্ডে চুড়ান্ত পর্বে নাম লেখানোটা নিশ্চিত হয়ে যেতো বাংলাদেশের। কিন্তু এখন চুড়ান্ত পর্বে খেলতে হলে জয়ের বিকল্প কোন পথই খোলা নেই মারিয়া মান্ডা-আঁখি খাতুনদের সামনে। তবে এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে মাঠে নামার আগে কোন প্রকার চাপ নিতে নারাজ বাংলাদেশ কোচ ছোটন। শিষ্যদের নির্ভার থেকে মাঠে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ছোটন বলেন, ‘ভিয়েতনাম প্রতিপক্ষ হিসেবে বেশ শক্তিশালী। তারা শেষ তিনটি ম্যাচেই নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমান দিয়েছে। আগামীকাল (আজ) আমাদের সামনে জয়ের কোন বিকল্প নেই। ‘টপ টু’ রানার্সআপ হিসেবে চুড়ান্ত পর্বে খেলার যে সুযোগটা আছে আমরা সেদিকে তাকাচ্ছি না। মেয়েদেরকে নির্ভার থেকে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলার পরামর্শ দিয়েছি আমি। সুযোগ আসলে সেটা কাজে লাগাবে তারা। আশাকরি আমরা ভালো একটা ফলাফল দিতে পারবো জাতিকে। আমার বিশ্বাস মেয়েরা জিতে সবার মুখে হাসি ফোটাবে।’ ভিয়েতনামের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দলে কোন কার্ড কিংবা ইনজুরি সমস্যা নেই বলেও জানান বাংলাদেশ কোচ।