যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
একটু বৃষ্টি আবার গরম আর গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি বিরক্তিকর উপদ্রবও বাড়তে থাকে। আর এই বিরক্তিকর উপদ্রবটি হচ্ছে মশা। মশা কামড়ালে আমাদের শরীরে যে কি সমস্যায় ভুগতে হতে পারে তা কারোর অজানা নয় । ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া আরও কত কী। মশার তাড়ানোর স্প্রে , মশার ধূপ, কয়েল থেকে শ্বাস কষ্টের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তাই জেনে নিন মশাকে ‘গুডবাই’ জানানোর ৫ টি ঘরোয়া উপায়।
১। কর্পূরের গন্ধ মশা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। আপনি যে কোনও ওষুধের দোকানে বা মুদির দোকান থেকেও কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে আনতে পারেন। একটি কর্পূরের টুকরো একটি ছোটো পাত্রে রেখে সেটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এর পর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘর থেকে মশা গায়েব হয়ে যাবে। দু’দিন পর পাত্রের পানি পরিবর্তন করুন। পাত্রে রাখা আগের পানি ফেলে দেবেন না। এই পানি ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে ঘরে পিঁপড়ের উপদ্রব থেকেও মুক্তি পাবেন।
২। নারকেল তেল ও নিম তেল ১:১ আনুপাতে সাড়া শরীরে লাগান। এই গন্ধে মশা আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষবে না। এ দিকে আপনার ত্বকও থাকবে ভাল। অ্যালার্জিও কমে যাবে।
৩। টি ট্রি অয়েল মশা তাড়াতে যেমন উপযোগী তেমনই ত্বক ও চুল ভাল রাখতেও উপকারী । তাই গায়ে মেখে নিতে পারেন টি ট্রি অয়েল বা চাইলে ঘরে স্প্রে করেও নিতে পারেন।
৪। রুম ফ্রেশনার হিসেবে ল্যাভেন্ডার অয়েল খুব ভাল। অনেকেই ঘরে সুগন্ধ ধরে রাখতে ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করেন। মশা তাড়াতেও উপকারী ল্যাভেন্ডার অয়েল।
৫। একটি গোটা লেবু দুই টুকরো করে কেটে নিন। এর পর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে বেশ কয়েকটা করে লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা গেঁথে শুধুমাত্র মাথার দিকের অংশ বাইরে রাখুন। এর পর লেবুর টুকরোগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, এতেই বেশ কয়েকটা দিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই পদ্ধতিতে মশা ঘরের ধারেকাছে ঘেঁসবে না একেবারেই। আপনি চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতেও মশার ঘরে ঢোকার পথ বন্ধ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।