মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ‘গণতন্ত্রের জন্য গণভোট’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে চীন চায় দ্বীপপুঞ্জতে তার রাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে। আর ভারতের লক্ষ্য ‘বেইজিংপন্থী’ প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের জন্য নির্বাচনী বিপর্যয় সৃষ্টি করতে।
মালদ্বীপে নির্বাচন হবে রোববার। এটি দেশটির তৃতীয় বহুদলীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ২০১৩ সালে মাত্র ৬,০০০ ভোটের ব্যবধান জয়ের পর থেকে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম (আবদুল্লাহ ইয়ামিন) তার অবস্থান সুসংহত করেছেন। তার সরকার রাজনৈতিক বিরোধী, স্বাধীন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে দমন অভিযান চালাচ্ছে বলে স্থানীয় মানবাধিকার গ্রুপগুলো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন সাবেক দুই প্রেসিডেন্টকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এদের একজন হলেন তারই সৎভাই মামুন আবদুল গাইয়ুম। এছাড়া তার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি, সাবেক দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিপুলসংখ্যক সরকারবিরোধীকেও কারাগারে পুরেছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদকে ২০১৫ সালে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমদ আবিদের বিরুদ্ধে ইয়ামিনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। তিনি এখন সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দায়ে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
ক্ষমতাসীন প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদিভসকে (পিপিএম) ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধী দলগুলো প্রবাস থেকেই একটি জোট গঠন করেছে। এই জোটে থাকা অনেকে ইয়ামিনের রাজনৈতিক অংশীদার। এসব দল ও ব্যক্তির মধ্যে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের একক প্রার্থী হিসেবে ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিকে মনোনীত করেছে। তিনিই রোববারের নির্বাচনে ইয়ামিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য ইয়ামিনের সমর্থকেরা আশা করছে, তাদের প্রার্থীই পুনঃনির্বাচিত হবেন। তারা বলছেন, ইয়ামিনের আমলে দেশের অর্থনীতি ও প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়েছে। সূত্রঃ বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।