মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের ফেলা ‘রাফাল বোমা’-র বিস্ফোরণে তাপ বাড়ল ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে। রাফাল নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই রাহুলের নেতৃত্বে সরব কংগ্রেস ব্রিগেড। ওলাঁদের বিস্ফোরক মন্তব্যের পর মোদীকে আরও জোরাল ভাষায় তোপ দাগলেন রাহুল গাঁধী। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নরেন্দ্র মোদী, এই ভাষাতেই শনিবার মোদীকে বিঁধলেন রাহুল। একই সঙ্গে বললেন, ‘‘মোদী-অম্বানী জুটির নেতৃত্বে ভারতীয় সেনার ওপর ১.৩ লক্ষ কোটি টাকার ‘সার্জিকাল হামলা’ চালানো হয়েছে। ভারতবর্ষের আত্মার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে রাফাল চুক্তিতে।’’
গত বেশ কিছু দিন ধরেই রাফাল নিয়ে দৃশ্যত চাপে ছিল মোদী সরকার। পুরো বিষয়টিতে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছিল কংগ্রেস। রাফাল নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই কোনও জবাব না দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করে দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
রাফাল চুক্তিতে অনিল অম্বানীর সংস্থা রিলায়েন্স ডিফেন্স-এর ঢুকে পড়া নিয়ে বিতর্কের শুরু। যুদ্ধবিমান দূরের কথা, কোনও রকম বিমান তৈরির অভিজ্ঞতাই যে কোম্পানির নেই, রাফাল-এর মতো উন্নতমানের যুদ্ধবিমান তৈরিতে তারা কী ভাবে ঢুকে পড়ল, অভিযোগের সূত্রপাত সেখান থেকেই। এর আগে মোদী সরকারের যুক্তি ছিল, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিজস্ব ‘হিন্দুস্তান এরোনোটিক্স লিমিটেড’-এরও (হ্যাল) যুদ্ধবিমান তৈরির কোনও অভিজ্ঞতা নেই। যদিও সেই দাবিকে নস্যাৎ করে হ্যাল সংস্থার সদ্যপ্রাক্তন প্রধান টি সুবর্ণ রাজু বলেছিলেন, ‘‘যে সুখোই এখন বায়ুসেনার প্রধান অস্ত্র, চতুর্থ প্রজন্মের সেই যুদ্ধবিমান সুখোই যদি হ্যাল একেবারে কাঁচামাল থেকে তৈরি করতে পারে, তা হলে আর কী বলার থাকে? অবশ্যই আমাদের রাফাল তৈরির ক্ষমতা ছিল।’’
এখনও পর্যন্ত রাফাল চুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ মোদী সরকার। উল্টে উঠছে আরও অনেক নতুন প্রশ্ন। যা অস্ত্র যোগাচ্ছে বিরোধীদের। ‘ভারতীয় সেনার রক্তকে অসম্মান করেছেন নরেন্দ্র মোদী’, এই মন্তব্য টুইট করে সেই বিরোধী আক্রমণকে আরও জোরাল করলেন রাহুল গাঁধী।
ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ-এর মন্তব্য নস্যাৎ করতে আসরে নেমেছে ফরাসি সরকার। তা নিয়ে ফরাসি সরকারকেও আক্রমণ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারির দাবি, ‘‘ফরাসি সরকার সত্য সামনে নিয়ে আসার বদলে সত্য চেপে রাখতেই বেশি উৎসাহী।’’
সব মিলিয়ে ভারতের রাজনীতিতে জোরাল ভাবেই ঢুকে পড়েছে রাফাল চুক্তি, যা অনেককেই মনে করিয়ে দিচ্ছে আটের দশকের শেষের বোফর্স চুক্তির কথা। বোফর্স কেলেঙ্কারি বদলে দিয়েছিল ভারতীয় রাজনীতির গতিপথ। ২০১৯ সালেই লোকসভা নির্বাচনে যাচ্ছে দেশ। সেই নির্বাচনে রাফাল বিতর্ক নিশ্চিত ভাবেই ছাপ ফেলবে। কিন্তু তা কতটা, নজর এখন সে দিকেই। সূত্রঃ জিনিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।