মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাফাল চুক্তি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে ফের ‘চোর’ বলে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তার অভিযোগ, বিমানবাহিনীর ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছেন মোদী এবং সেই টাকা তিনি অনিল অম্বানিকে দিয়েছেন। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এ ভাবেই মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাহুল। কংগ্রেসকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও।
নির্মলা বলেন, ‘সংবাদপত্রে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের প্রতিক্রিয়া ছাপানো হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের সেই নোটের জবাব দিয়েছিলেন পর্রীকর। তিনি বলেছিলেন, দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।’ প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সেই প্রতিক্রিয়া ছাপানো উচিত ছিল বলে লোকসভায় পাল্টা আক্রমণ করেন নির্মলা। তার আরও মন্তব্য, ‘গোপন স্বার্থেই এই ইস্যুকে বাঁচিয়ে রাখছে বিরোধীরা। তারা চায় না বিমানবাহিনী শক্তিশালী হোক।’
রাফাল চুক্তি নিয়ে তৎকালীন প্রতিরক্ষা সচিব জি মোহনের একটি নোট প্রকাশ্য আসে। সেটাকেই হাতিয়ার করে সাংবাদিক সম্মেলন করে মোদীকে আক্রমণ করেন রাহুল। ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বরের ওই বিশেষ নোটে জি মোহন কুমার তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরকে জানান, ‘পিএমও এ ব্যাপারে আলাদা ভাবে ফরাসি সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালানোয়, দর কষাকষিতে অসুবিধা হচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও ভারতের মধ্যস্থতাকারী দলের।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’তে প্রকাশিত সেই নোট হাতে নিয়ে রাহুল বলেন, ‘অনিল অম্বানির কথা ভেবেই রাফাল নিয়ে আলাদা ভাবে তদন্ত চালিয়েছিলেন মোদী।’ তার অভিযোগ, যে ৩০ হাজার কোটি টাকা হ্যাল-এর প্রাপ্য মোদী সেটা দিয়েছেন তার বন্ধু অনিল অম্বানিকে।
প্রতিরক্ষা সচিবের ওই রিপোর্ট উল্লেখ করে রাহুলের মন্তব্য, ‘তিনি এক বছর ধরে বার বার বলে এসেছেন রাফালে অভিযুক্ত মোদী, এই নোট প্রকাশ্যে আসার পর তা স্পষ্ট হল।’ পাশাপাশি তার অভিযোগ, মোদী রাফাল নিয়ে আদালতেও মিথ্যা কথা বলেছেন। এর পরেই তিনি মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এর থেকেই প্রমাণ হল উনি একসঙ্গে চোর ও চৌকিদার।’ রাহুলের প্রশ্ন, ‘রাফাল নিয়ে কার জন্য এমন সমান্তরাল আলোচনা চালিয়েছিলেন মোদী? আমার, আপনার জন্য নয়। তিনি অনিল অম্বানির জন্যই এ কাজ করছিলেন।’
সংবাদমধ্যমে প্রতাশিত রাফালের রিপোর্ট নিয়ে কংগ্রেস হইচই করলেও তৎকালীন প্রতিরক্ষা সচিব জি মোহন কিন্তু অন্য কথা বলেন। সংবাদ সংস্থা এনএনআই-এর কাছে তার দাবি, সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের সঙ্গে রাফাল দামের কোনও সম্পর্ক নেই। অন্য দিকে, রাহুলের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র এবং অনিল অম্বানি। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, কংগ্রেস এ ধরনের মিথ্যা প্রচার চালিয়ে দেশবাসীর মধ্যে একটা ভ্রম তৈরি করছে। এ দিন লোকসভায় রাফাল প্রসঙ্গ উঠতেই তুমুল হইচই শুরু করে দেয় বিরোধীরা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।