মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬টি রাফাল জঙ্গি বিমান কেনা নিয়ে বিরোধীদের প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে ভারত সরকার এখন তার অতিবিস্তৃত ও দুর্বলভাবে অস্ত্রে সজ্জিত সামরিক বাহিনীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অন্যান্য অস্ত্র কেনার ব্যাপারে খুব বেশি মাত্রায় সংযত আচরণ করছে। গত মার্চে পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিটির সামনে সাক্ষী দিতে গিয়ে এক সিনিয়র জেনারেল বলেছিলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই-তৃতীয়াংশ সরঞ্জামই সেকেলে। মাত্র আট শতাংশ অস্ত্র অত্যাধুনিক। নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অবস্থা কিঞ্চিত ভালো। কিন্তু আগামী বছর নির্বাচনের মুখোমুখি থাকা ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার রাজনৈতিক বিতর্কের ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। ফলে তারা বিদেশ থেকে অস্ত্র কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র ১৫ থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলারে ১১০টি মাঝারি পাল্লার জঙ্গিবিমান কেনার দরপত্র খুব শিগগিরই প্রকাশ করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। ফলে ভারতীয় বিমান বাহিনীকে ১১ স্কয়াড্রন বিমান কম নিয়েই চীন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে (যদি তারা একসাথে যুদ্ধ করে) দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, ভারতীয় বিমানবাহিনী মনে করে, তাদের ৪২ স্কোয়াড্রন বিমান দরকার। অথচ তাদের হাতে আছে ৩১ স্কোয়াড্রন। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৫৭টি জঙ্গি বিমান ক্রয় কিংবা দেশেই একটি বিমানবাহী রণতরী বানানোর পরিকল্পনা নিয়েও সম্ভবত অগ্রসর হবে না। এমনকি রাশিয়ার কাছ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কেনার যে পরিকল্পনা ছিল (যা আগামী মাসে ভারত-রাশিয়া শীর্ষ বৈঠকে চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল), তাও স্থগিত হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ৬ বিলিয়ন ডলারে ছয়টি প্রচলিত সাবমেরিন ও সেনাবাহিনীর জন্য সাঁজোয়া যান ও অ্যাসাল্ট রাইফেলের মতো অস্ত্র কেনাও স্থগিত হয়ে গেছে। অন্য দিকে চীন ও পাকিস্তান দ্রুত তাদের অস্ত্র কিনে যাচ্ছে। ইসলামাবাদের কাছে অত্যাধুনিক বিমান, রণতরী ও সেনা সরঞ্জাম বিক্রি অব্যাহত রেখেছে বেইজিং। তারা দক্ষিণ এশিয়ায় কিস্তানকে সহায়ক শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চাচ্ছে। ভারত ও চীনা সামরিক বাহিনীর মধ্যকার ব্যবধান আগেই উদ্বেগজনক মাত্রায় ছিল। এখন তা আরো বেড়ে গেছে। সাউথ এশিয়ান মনিটর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।