মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি নিয়ে বৃহষ্পতিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ‘হাইভোল্টেজ’ শুনানিতে কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি সরকার পক্ষ। বিমান কেনার প্রক্রিয়া, অফসেট (দেশীয় সংস্থাকে দিয়ে যন্ত্রাংশ তৈরি) আর দাম। এই তিনটি বিষয় নিয়েই মামলাকারী অরুণ শৌরি-প্রশান্ত ভূষণ-যশবন্ত সিন্হাদের সঙ্গে আরও তিন জনের করা মামলা নিয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হবে কি না, সেই রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতি গগৈ, বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি এস কে কউলের বেঞ্চ।
দাম নিয়ে প্রধান বিচারপতি ‘এখনই’ প্রকাশ্যে আলোচনা করতে না-চাওয়ায় মামলাকারীদের পুরো জোর ছিল অনিল অম্বানীকে অফসেটের একতরফা দায়িত্ব দেওয়ার উপরে। অভিযোগ, এর জন্যই বদলে ফেলা হয়েছিল অফসেটের নীতি। মামলাকারীরা বলেছেন, ‘আগে তো অন্তত প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অনুমোদনের পরে অফসেট সহযোগী ঠিক হত। এখন সেটাও পাল্টে দেওয়া হয়েছে।’
বেণুগোপাল এক বার বলে ফেলেন, এই মামলা বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার নয়, বিশেষজ্ঞদের বিষয়। কিন্তু কেন্দ্রকে মানতে হয়েছে, অফসেট নীতি বদলানো হয়েছে। এবং ফরাসি সরকার এই চুক্তি রূপায়ণের ব্যাপারে ‘সার্বভৌম নিশ্চয়তা’ দেয়নি। অনিল অম্বানীকে অফসেট দেওয়ার বিষয়টি এখনও সরকার জানে না, এই যুক্তি শুনে আদালত প্রশ্ন তুলেছে, কেন পাল্টানো হয়েছে অফসেট নীতি? সহযোগী সংস্থা হাত গুটিয়ে নিলে বা দেরি করলে দেশের স্বার্থের কী হবে?
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অপূর্ব চন্দ্র যুক্তি দেন, সরকার পরে স্থির করবে কোনও সহযোগীকে গ্রহণ করা হবে কি না। প্রয়োজনে জরিমানারও ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কেন চুক্তির সঙ্গেই অফসেট নীতি চালু হচ্ছে না? আদালতের এই প্রশ্নের জবাবও ঠিকমতো দিতে পারেনি সরকার।
কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, শীর্ষ আদালতের কাছেও আজ স্পষ্ট হল, রাফাল চুক্তিতে গরমিল আছে। আইন মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা উপেক্ষা করে চুক্তি হয়েছে। এরও তদন্ত হোক।
‘সার্বভৌম নিশ্চয়তা’ নেই মানে এটি দুই সরকারের চুক্তি নয়, ভারত এবং দাসোর চুক্তি। রাহুল গাঁধী ছত্তীসগঢ়ে বলেছেন, ‘যে দিন সিবিআই তদন্ত শুরু হবে, সে দিন দু’টো নাম বেরোবে। অনিল অম্বানী এবং নরেন্দ্র মোদী।’
বিজেপির আশা, তদন্ত থেকে বাঁচলে তার কৃতিত্ব হবে বিমানবাহিনীর ভাইস মার্শাল জে চলপতির। তাকেও ডাকা হয়েছিল কোর্টে। বেণুগোপাল ‘কাল্পনিক’ যুক্তি দেন, কার্গিলের সময়ে রাফাল থাকলে সুবিধে হত। চলপতি জানান, ১৯৮৫ সালের পর থেকে নতুন বিমান আসেনি। বিমানবাহিনীর পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান দরকার। বিমানবাহিনীর অফিসারদের প্রশ্ন করার পরে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ বার আপনারা ফিরে যান নিজেদের ‘ওয়ার-রুম’-এ। এটি অন্য ‘ওয়ার-রুম’। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।