Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোদী সরকারের পরামর্শেই রাফালে অম্বানীরা -ওলাঁদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:৪৬ এএম

রাফাল যুদ্ধবিমান থেকে কার্যত ফরাসি বোমাই যেন পড়ল নরেন্দ্র মোদী সরকারের অন্দরে! বোমাটা ফেললেন ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। শনিবার স্থানীয় একটি পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘মোদী সরকারই ফরাসি সরকারকে বলেছিল, অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজকে রাফাল-চুক্তিতে মনোনীত করতে।’ সংশ্লিষ্ট ফরাসি পত্রিকাটির দাবি, ওলাঁদ তাদের বলেছেন, ভারত সরকার আমাদের উপরে রিলায়্যান্সকে চাপিয়ে দিয়েছিল। আমাদের সামনে কোনও বিকল্প ছিল না।
ওলাঁদ প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই রাফাল-চুক্তি হয়। তিনি শনিবার যা বলেছেন, ঠিক সেটাই বক্তব্য রাহুল গাঁধীর। কংগ্রেস সভাপতির দাবি ছিল, যুদ্ধবিমান তৈরির কোনও অভিজ্ঞতা না-থাকা, বিপুল দেনায় জর্জরিত অনিলের সংস্থাকে রাফালের বরাত পাইয়ে দিয়েছেন মোদীই। শনিবার ফের রাহুলের অভিযোগ, মোদী ব্যক্তিগত স্তরে রাফাল চুক্তির দর-কষাকষি করেছেন। বন্ধ দরজার আড়ালে চুক্তি পাল্টেছেন।
কংগ্রেস সভাপতির টুইট, ‘ওলাঁদের দৌলতে জানলাম, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে কোটি কোটি ডলারের চুক্তি দেউলিয়া অনিল অম্বানীকে পাইয়ে দিয়েছেন। তিনি দেশকে ঠকিয়েছেন। জওয়ানদের রক্তকে অসম্মান করেছেন।’
তবে কি এত দিন মন্ত্রীরা অসত্য বলছিলেন? অরুণ জেটলি, নির্মলা সীতারামনদের মতো অনিলও দাবি করেছেন, রাফাল-নির্মাণকারী সংস্থা দাসোর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তাঁর সংস্থার। সেখানে মোদী সরকারের ভূমিকা নেই। কিন্তু সাক্ষাৎকারে ওলাঁদ বলেন, ‘ভারত সরকার ওই গোষ্ঠীর নাম প্রস্তাব করে। অম্বানীর সঙ্গে বোঝাপড়া করে দাসো। আমরা কাউকে পছন্দ করিনি।’ ২০১৫ সালে ওলাঁদের আমলেই মোদীর ফ্রান্স সফরে আচমকা ৩৬টি রাফাল কেনার চুক্তি ঘোষণা হয়। পরের বছর ওলাঁদ দিল্লি এলে সই হয় চুক্তি। ওলাঁদের সঙ্গিনী জুলি গায়েটের সঙ্গে অনিলের প্রযোজনা সংস্থা সিনেমা করছিল বলেও প্রতিবেদন বেরোয়। ওলাঁদ যদিও বলেন, ‘জুলির ছবির সঙ্গে এর সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না।’
কংগ্রেসের দাবি, মোদী প্রায় তিন গুণ বেশি দামে ৩৬টি রাফাল কেনায় কোষাগারের ৪১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। বাকি ৯০টি বিমান ভারতে তৈরির বরাত পেয়ে অনিলের সংস্থা কামাতে চলেছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। ওলাঁদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ হতেই তড়িঘড়ি তা অনুবাদের নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় অফিসারদের। প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের বক্তব্য, ‘ভারত বা ফ্রান্স সরকারের এ বিষয়ে কোনও মতামত ছিল না।’ সূত্রঃ এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোদী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ