Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের বিচারে সব পথ বিবেচনায় রাখা উচিত: যুক্তরাজ্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৬:৪১ পিএম

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, মিয়ানমার যদি রোহিঙ্গা নিপীড়নে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে না পারে তাহলে হেগে অবস্থিত আইসিসির মাধ্যমে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগী হতে হবে। যেহেতু সদস্য নয় এমন পক্ষের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চালাতে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের’ (আইসিসির) নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেহেতু ভিন্ন পথেও দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিতের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
পত্রিকা লিখেছে, যুক্তরাজ্য খুব সম্ভবত রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো জাতিগত নিপীড়ন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে, ঠিক যেমন সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
মিয়ানমার সফরে থাকা অবস্থাতেই হান্ট তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘বার্মায় যদি জবাবদিহিতা ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত না হয় তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত আন্তর্জাতিক আদালতে বিষয়টি বিচারের জন্য পাঠানো থেকে শুরু করে অন্যান্য সবগুলো পথ বিবেচনায় রাখা। আন্তর্জাতিক আদালতের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের দরকার পড়বে, যা পাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের অন্যান্য পথ কী কী হতে পারে সে বিষয়ে ভাবতে হবে।’
তাছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর ফাতৌ বেনসুদা জানিয়েছেন, তিনি রোহিঙ্গাদের অপর মিয়ানমারের চালানো নিপীড়নের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন, ফাতৌ বেনসুদার উদ্যোগ ছাড়াও রয়েছে মার্কিন পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্র গত ১৭ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো জাতিগত নিধনযজ্ঞের দায়ে দেশটির তিনজন সেনা কর্মকর্তা, দুইটি সেনা ব্রিগেড ও বর্ডার পুলিশের এক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে বলেছেন, আন্তর্জাতিক আদালত সে সমর্থন নাও পেতে পারে। দেশটির ধারণা, চীন নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নেওয়া প্রস্তাবে ভেটো দেবে।
জেরেমি হান্ট বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্য একা পারবে না। আমাদেরকে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা আইনের শাসনের ভিত্তিতে ন্যায় নিশ্চিত করতে চাই। দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ