পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের পূর্ব ঘোষিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাও মিছিলে পুলিশ হামলা ও লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করেছে জোটের নেতকর্মীরা। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে জোটের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। হামলার প্রতিবাদে ১১ অক্টোবার জাতীয় সচিবালয় ঘেরাও ছাড়াও আজ ঢাকায় জনসংহতি সমিতির বিক্ষোভ ও কাল শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ ডেকেছে গণতান্ত্রিক জোট। এ দিকে, জোটের মিছিলে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ব্যারিস্টার ড. কামাল হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জোটের নেতাকর্মীরা বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ১২টায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে শেষে মিছিল নিয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দিকে যাত্রা করে নেতাকর্মীরা। মিছিলটি রমনা পার্কের কাছে ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটের সামন পৌঁছালে প্রথমবারের মতো পুুলিশ তাতে বাধা দেয়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি শাহবাগ মোড় হয়ে কারওয়ান বাজার দিয়ে আগারগাঁওয়ে যাওয়ার সময় আবারও বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সামনে এগুতে চেষ্টা করলে পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর হামলা ও লাঠি চার্জ করে। জোটের নেতাকর্মীরাও ব্যানারের লাঠি দিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। প্রায় ১০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শেষে কারওয়ান বাজারেই রাস্তার ওপরে বসে পড়েন জোটের নেতাকর্মীরা। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি গতকালের মতো সমাপ্ত ঘোষণাসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন।
জোটের শরিক সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, দুপুরের দিকে কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে মিছিলটি পৌঁছালে পুলিশ বিনা উসকানিতে তাদের উপর হামলা ও লাঠিচার্জ করে। পুলিশের হামলায় জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লুনা নূরসহ প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে সাইফুল হককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে রতন জানান।
জোনায়েদ সাকী বলেন, হামলা পরবর্তী করণীয় নিয়ে গতকাল বিকেল ৫টায় জোট নেতারা একটি বৈঠক করেছেন। আজও জোটের বৈঠক রয়েছে। তিনি আরও বলেন, হামলার প্রতিবাদে আগামী ১১ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে জোট। এ ছাড়া আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি সমিতির বিক্ষোভ ও কাল শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে গণতান্ত্রিক জোট।
হামলার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার আবির বলেন, ‘আমরা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাইনি। উল্টো তারাই পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তা ধ্বস্তি করেছে। পরবর্তীতে তাদের সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তাদের এ কর্মসূচির কারণে কাওরান বাজার এলাকায় কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বিঘিœত হয়। তবে পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।’
গণফোরামের বিবৃতিতে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এ ধরণের পুলিশি নির্যাতন গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠায় বাধা তৈরি করে।’ সিপিবির নেতারা বলেন, ‘জনরোষের ভয়ে সরকার বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। যার কারণে নারী-পুরুষ নির্বিচারে সবার ওপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে।’ তারা বলেন, ‘স্বৈরশাসকরা কোন কালে রেহাই পায়নি, বর্তমান সরকারও পাবে না।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে ‘নিরপেক্ষ তদারকি সরকার’ গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবিতে গতকালকের নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট। ৮টি বামপন্থি রাজনৈতিক দল মিলে ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ যাত্রা শুরু করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।