Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে মিয়ানমারে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৫:৩২ পিএম

মিয়ানমারে সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে। কারণ দেশটিতে বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য বক্তব্য ছড়ানো হলেও কর্তৃপক্ষ (সরকার) নীরব রয়েছে, অর্থাৎ কোনো কথা বলতে পারছে না। রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো নৃশংসতা খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন মঙ্গলবার তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এমন মন্তব্য করে।
স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান মার্জুকি দারুসম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য দরকার স্বাধীন নেতৃত্ব, যা ঘৃণ্য বক্তব্য ও ক্ষতিকর বিভ্রান্তি কার্যকরভাবে দমন করতে পারবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগেই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে মানবাধিকার কমিশনের গঠিত ওই তদন্ত মিশন। মঙ্গলবার মানবাধিকার কমিশনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করলো দারুসম্যানের নেতৃত্বাধীন দল।
ওই প্রতিবেদনকে এক পক্ষীয় বলে মন্তব্য করে মিয়ানমার। সেইসঙ্গে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চালানো নৃশংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে নেইপিদো। বরং সন্ত্রাস দমনে তারা ওই অভিযান চালায় বলে জানায়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি চেকপোস্টে বিদ্রোহীদের হামলাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের ওপর সাঁড়াশি অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। জাতিসংঘ ওই অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসেবে অভিহিত করে।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর উদ্দেশ্যেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও গণধর্ষণ চালায়। সেইসঙ্গে বার্মিজ সেনাবাহিনীর প্রধানসহ ছয়জন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করার সুপারিশ করা হয়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ভয়াবহ ওই অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
আন্তর্জাতিক মহলের চাপের পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কয়েক মাস আগে একটি চুক্তিও করেছে মিয়ানমার সরকার। কিন্তু নানা অজুহাত দেখিয়ে এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করেনি নেইপিদো। সূত্রঃ বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ