পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবু সোনা হত্যা মামলায় স্ত্রী শ্নিগ্ধা ভৌমিক এবং তার প্রেমিক কামরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে। বহুল আলোচিত এই মামলায় অভিযুক্ত ৪ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত মিলনসহ অপর ৪ আসামীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, এই মামলায় ৮০০ পৃষ্ঠার বেশি নথিপত্র আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। ৫ মাস ১২ দিনের মাথায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে। দু সপ্তাহ আগে বাবু সোনার ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট আমাদের হাতে এসে পৌছেছে। হত্যার দু সপ্তাহের মধ্যেই আমরা ময়না তদন্ত রিপোর্ট হতে পেয়েছি। এই মামলায় মোট ৪০ জন সাক্ষী রয়েছে। বাবু সোনার বিশাল অর্থ বিত্ত ও পরকীয়ার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বাবু সোনার স্ত্রী শ্নিগ্ধা ভৌমিক ও তার প্রেমিক কামরুল ইসলাম।
কামরুল জবানবন্দিতে জানিয়েছে সে রংপুর নগরীর তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ বছর ধরে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করে আসছে। আইনজীবী বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিকও একই স্কুলে শিক্ষকতা করেন। হত্যাকান্ডে ৮ মাস আগে থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হত্যার ৪ মাস আগে থেকে তারা দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বাবু সোনা আইনজীবী ও প্রভাবশালী হওয়ায় বিয়েতে বাধা হতে পারে এমন মনে করে তারা তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কামরুল তার জবানবন্দিতে আরও জানান, তার ধারণা ছিল বাবু সোনাকে হত্যার পর তারা দুজনে বিয়ে করার পর বাবু সোনার বিশাল সম্পদ ভোগ করতে পারবে। হত্যার পর লাশ কোথায় পুঁতে রাখবে, নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা কীভাবে প্রচার করবে সব পরিকল্পনা করা হয়।
এই মামলার বাদি নিহত রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের ছোটভাই সুশান্ত ভৌমিক বলেন, চার্জশিটে আমরা সন্তুষ্ট। এই হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার দাবি করছি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে বাবু সোনাকে ১০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ তাজহাট মোল্লা পাড়ায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরে পুতে রাখা হয়। ৩ এপ্রিল রাতে বাবু সোনার স্ত্রী শ্নিগ্ধা ভৌমিক ওরফে দিপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব আটক করে। তিনি এ হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন এবং লাশের অবস্থান সম্পর্কে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।