নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
‘স্বর্গ থেকে মত্তে’ পতন বুঝি একেই বলে। সাম্প্রতীক সাফল্য সঙ্গী করে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। সেই সাফল্যের কিয়দাংশ যে দলটির বিপক্ষে সেই শ্রীলঙ্কাকে দিয়েই এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে মাশরাফির গল গতকাল নেমেছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তবে শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মত। প্রথম ওভারেই লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গার বলে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফিরে যান ওপেনার লিটন কুমার দাস এবং ওয়ানডাউনে নামা সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ওভারে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন তামিম ইকবালও!
পাক্কা এক বছর ১২দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা প্রমাণ করলেন, ফুরিয়ে যাননি এখনও। গতি আর সুইংয়ের আগুনে ঝলসে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ। শুরুতেই তার সহজ শিকারে পরিণত লিটন আর সাকিব। দীর্ঘ চার বছর পর গোল্ডেন ডাক মারলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এই নিয়ে ৯ বার ওয়ানডেতে শূন্য রানে ফিরলেন সাকিব। ৫ বারই গোল্ডেন ডাক।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল মালিঙ্গার বলটি বুঝতেই পারেননি সাকিব। অফ স্ট্যাম্পের ওপর থাকা বলটি হঠাৎ সুইং করে ভেতরে প্রবেশ করে এবং সোজা আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। শুরুতেই এমন একটি ভালো বলের মুখোমুখি হতে হবে সাকিবকে, সেটা তিনি হয়তো কল্পনাই করতে পারেননি। সে সঙ্গে প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে বিদায় নিতে হলো বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডরকে।
এ নিয়ে চার বছর পর এই প্রথম গোল্ডেন ডাকের মুখোমুখি হলেন সাকিব। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই আউট হয়েছিলেন সাকিব, কোনো রান না করে। ওই সিরিজের শেষ ম্যাচেও (পঞ্চম ম্যাচ) ডাক মেরেছিলেন সাকিব। সেটা গোল্ডেন ডাক ছিল না। অথ্যাৎ ইনিংসে নিজের প্রথম বলেই আউট হননি তিনি। ৮ বল মোকাবেলা করেছিলেন ওই ম্যাচে।
ঠিক ৪ বছরে ৪৫ ইনিংসে ১৪৯৭ রান করার পরে ইনিংসের প্রথম বলেই তথা গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। এর মাঝে আরও এক ম্যাচে শূন্য রান ছিল সাকিবের। সেটা ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে (ঢাকায়) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ৪ বল মোকাবেলা করে কোনো রান না করেই অপরাজিত ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ জয় তুলে নিয়েছিল ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
প্রথম বলে লিটনের পর শেষ বলে সাকিবের উইকেট দিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মালিঙ্গা। পরের ওভারের প্রথম বলটিও ছিল বেশ ভালো। মিডল স্টাম্পে ফুল লেংথ। তবে একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বলের দিকে চোখ রেখে মুশফিকও বলটি খেলেছেন মাঝ ব্যাটেই।
ওয়ানডেতে তিনবার হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা। টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। ফেরার ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন আরেকটি হ্যাটট্রিকের। তবে হলো না। হ্যাটট্রিক না হলেও ওভারটি মালিঙ্গা নিয়েছেন মেডেন। ২ ওভার শেষে তার ২ উইকেট মাত্র ১ রান দিয়ে।
স্কোর কার্ড
এশিয়া কাপ, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা
টস : বাংলাদেশ, দুবাই
বাংলাদেশ ইনিংস রান বল ৪ ৬
তামিম অপরাজিত ২ ৪ ০ ০
লিটন ক মেন্ডিস ব মালিঙ্গা ০ ৪ ০ ০
সাকিব বোল্ড মালিঙ্গা ০ ১ ০ ০
মুশফিক ক মেন্ডিস ব থি পেরেরা ১৪৪ ১৫০ ১১ ৪
মিঠুন ক কু পেরেরা ব মালিঙ্গা ৬৩ ৬৮ ৫ ২
মাহমুদউল্লাহ ক সিলভা ব আপনসো ১ ৪ ০ ০
মোসাদ্দেক ক কু পেরেরা ব মালিঙ্গা ১ ৫ ০ ০
মিরাজ ক এন্ড ব লাকমাল ১৫ ২১ ০ ০
মাশরাফি ক থারাঙ্গা ব সিলভা ১১ ১৮ ২ ০
রুবেল এলবি ব সিলভা ২ ১২ ০ ০
মুস্তাফিজ রানআউট (মন্ডিস/পেরেরা) ১০ ১১ ১ ০
অতিরিক্ত (লেবা ৪, নো ১, ও ৭) ১২
মোট (অলআউট, ৪৯.৩ ওভার) ২৬১
উইকেট পতন : ১-১ (লিটন), ২-১ (সাকিব), ৩-১৩৪ (মিঠুন), ৪-১৩৬ (মাহমুদউল্লাহ), ৫-১৪২ (মেসাদ্দেক), ৬-১৭৫ (মিরাজ), ৭-১৯৫ (মাশরাফি), ৮-২০৩ (রুবেল), ৯-২২৯ (মুস্তাফিজ), ১০-২৬১ (মুশফিক)।
বোলিং : মালিঙ্গা ১০-২-২৩-৪, লাকমাল ১০-০-৪৬-১, আপনসো ৯-০-৫৫-১, থি পেরেরা ৭.৩-০-৫১-১, ডি পেরেরা ৩-০-২৫-০, সিলভা ৭-০-৩৮-২, শানাকা ৩-০-১৯-০।
(অসমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।