বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী একটি সেতু। এর সংযোগ তিনটি। প্রচলিত সকল সেতুর চাইতে পুরোমাত্রায়ই আলাদা। এর গঠনশৈলী অনেকটাই ইংরেজি ‹ওয়াই› অক্ষরের ন্যায়। সঙ্গত কারণে এর নাম হয়ে গেছে ‹ওয়াই সেতু› কিংবা ‹ওয়াই ব্রীজ›। বাংলাদেশে এটিই প্রথম। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা এলাকায়। তিতাস নদীর উপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এই ওয়াই সেতু এখন কেবলই উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে।
আজ রোববার সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এই ওয়াই সেতু উদ্বোধন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো.ফজলে রাব্বি। এলাকাবাসীর স্বপ্নের এই সেতু চালু হলে চারদিকে নদী বেষ্টিত বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দৃশ্যপটই পাল্টে যাবে বলে সর্বমহলের অভিমত। নদী পাড়ি দেওয়ার মতো দুর্বিষহ অপেক্ষার প্রহর আর গুনতে হবে না এখানকার সাধারণ মানুষকে। অতি অল্প সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ হবে নির্বিঘে আর স্বচ্ছন্দময়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর এই ওয়াই সেতুতে বদলে যাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার অর্থনীতির চাকা। তিতাস নদীর ত্রিমোহনার দুই অংশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভুরভুরিয়া ও চরলহনিয়া, অপরটি পশ্চিমাংশে কুমিল্লা জেলার রামকৃষ্ণপুর বাজার এবং মুরাদনগর উপজেলা এলাকাকে স্পর্শ করেছে দৃষ্টিকাড়া এই ওয়াই সতু। শেষ মুহূর্তের লেভেলিংয়ের কাজ, ধোয়ামোছা, ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতি সারানো এবং রঙের কাজও সম্পন্ন হয়ে গেছে। সেতুটি চালু হলে দুই জেলার তিন-তিনটি উপজেলার মধ্যে রচিত হবে সেতুবন্ধন। ফলে এতদাঞ্চলের অর্থনীতির চাকা হয়ে ওঠবে আরো সচল। আর এসব এখন কেবলই সময়ের ব্যাপার মাত্র।
মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বছরখানেক আগে। সংযোগ সড়কের কাজও শেষ হয়ে এখন কেবলই প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধোধনের অপেক্ষায় বলে জানালেন বাঞ্ছারামপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী মো.জাহাঙ্গীর আলম। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নাভানা বিল্ডার্সের আওতায় ২০১১ সালের ১৬ জুন সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৭৭১.২০ মিটার এবং প্রস্থ ৮.১০ মিটার। সেতুটিতে পিলার রয়েছ ৩০২টি। দৃষ্টিনন্দন এই সেতু নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, আর জমি অধিগ্রহণ খাতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৯ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মাণের ফলে এলাকার যোগাযোগ ও বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।