মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শুধু চীনের বাধার জন্য সব শর্ত মেনে নেয়ার পরেও ভারত বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর সবচেয়ে শক্তিশালী জোট নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ (এনএসজি)-এর সদস্য হতে পারেনি । কোনও রাখঢাক না রেখে বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান উপসহকারী সচিব অ্যালিস ওয়েলস। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
ওয়েলসের কথায়, ‘যত বারই ভারতের সামনে এনএসজি-র সদস্য হওয়ার সুযোগ এসেছে, ততবারই ভেটো দিয়েছে চীন। আর তাতেই বার বার এনএসজি-র দরজাটা ভারতের সামনে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অথচ আমরা (আমেরিকা) বার বার জোরালো সমর্থন করেছি ভারতকে।’
শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, এনএসজি-র সদস্য পদ পাওয়ার জন্য ভারতকে বার বার জোরালোভাবে সমর্থন করেছে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশসহ ৪৮ সদস্যের ওই জোটের বেশির ভাগ রাষ্ট্রই।
তারপরও কেন শুধু চীনের ভেটোয় ভারতের সাধ পূর্ণ হচ্ছে না? ওয়েলস তার জবাবে বলেন, ‘এনএসজি জোটের নিয়মটাই হলো কোনও বিষয়ে সব সদস্য একমত না হলে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয় না।’
ওয়েলস জানান, যত বারই এনএসজি-তে ভারতকে সদস্য হিসেবে নেয়ার জোরালো দাবি উঠেছে আর সেই দাবি সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছে, তখনই চীন বলেছে, ভারতকে সদস্যপদ পেতে হলে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (এনপিটি)-তে সই করতে হবে। ভারত এখনও ওই চুক্তিতে সই করেনি তার কয়েকটি শর্ত তার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয় বলে। আর এনপিটি-তে ভারত সই করেনি, এই যুক্তিতেই এনএসজি-তে ভারতের সদসস্যপদ পাওয়ার প্রস্তাবে বার বার ভেটো দিয়ে যাচ্ছে চীন।
ওয়েলস এও জানিয়েছেন, এর পরেও যুক্তরাষ্ট্র জোর চেষ্টা চালাবে ভারতকে এনএসজি-র সদস্য করানোর। তার জন্য বেইজিং-কেও বোঝানোর চেষ্টা করা হবে।
তবে এনএসজি-র পূর্ণ সদস্য না হওয়ার জন্য ভারতের যাতে তেমন কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য ভারতকে ওয়াশিংটন ‘স্ট্র্যাটেজিক ট্রেড অথরাইজেশন (এসটিএ-১)-এর তালিকায় এনেছে বলে ওয়েলস জানান। ওই তালিকায় আসার ফলে, এনএসজি-র সদস্য না হতে পারলেও ভারত সামরিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কাছে চলে এল বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।