চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন: এক লোক ওয়াতনে আসলী ছেড়ে নতুন স্থানে বসবাস শুরু করলে কোনটা তার ওয়াতনে আসলী হবে?
উঃ যদি প্রথম আসাব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে নতুন আবাসস্থলেই হবে ওয়াতনে আসলী। আর প্রথম আবাসস্থলের সাথে সম্পর্ক থাকলে, জমি-জামা বাড়ীঘর এবং যাওয়া আসা থাকলে, উভয় ওয়াতনই ওয়াতনে আসলীর হুজুম বহন করবে। তাই দু-একদিনের জন্য বেড়াতে গেলেও মুসাফিরের হুকুম প্রযোজ্য হবে না।
প্রশ্ন: এক লোক কোনো স্থানে ১৫ দিন অবস্থানের নিয়ত করেনি, তাবে এরূপ নিয়ত করেছে যে, সে অমুক দলের সঙ্গে বাড়ী যাবে কিংবা অমুক গাড়ী বা জাহাজে যাবে যে দল বা জাহাজের যাত্রার তারিখ ১৫ দিন পর। এটা সে জানে; এমতাবস্থায় সে মুসাফির না মুকীম?
উঃ সে মুকীমের হুকুম পালন করবে।
প্রশ্ন: এক লোক ৪৮ মাইল পথ পাড়ি দেওয়ার পর নিয়ত করে বাড়ী থেকে বের হয়ে ৪০ মাইল চলার পর বাড়ী ফিরে এল। তার ওপর কী হুকুম?
উঃ তার ওপর মুসাফিরের হুকুম ওই সময় পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে যতক্ষণ সে ৪৮ মাইল বা এর বেশি দূর যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছিল। নিয়ত পরিবর্তন করার সাথে সাথে মুসাফিরের হুকুম আর থাকবে না।
প্রশ্ন: যে সরকারী কর্মচারী বা বিশেষ বাহিনীর লোককে সর্বদা বিভিন্ন এলাকা ভ্রমণ করতে হয় সে কি মুসাফির?
উঃ শরীয়ত নির্ধারিত পরিমাণ দূরত্বে ভ্রমণ কালে সে মুসাফির। আর আবাসস্থলে ফিরে এলে সে মুকীম।
প্রশ্ন: আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য যদি অপরাধীকে গ্রেফতার করা বা অন্য কোনো দায়িত্ব নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয় এবং কোথায় অপরাধী ধরা পড়বে বা তার দায়িত্ব শেষ হবে জানা না থাকে, তাহলে এই লোক যাত্রাপথে কিভাবে নামায আদায় করবে?
উঃ এই লোকের মনে যদি প্রবল ধারণা হয় যে, ৪৮ মাইল যাওয়ার পর তার কাজ শেষ হবে এবং সে ফিরে আসতে পারবে, তাহলে সে কসর করবে। আর যদি সফরের শুরুতে তার ওইরকম ধারণা না থাকে; অনিশ্চিতভাবেই যাত্রা শুরু করে, তাহলে সারাপথেই সে মুকীম হিসাবে পূর্ণ নামায আদায় করবে।
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।