পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইদলিবে আসন্ন ‘মানবিক দুর্যোগ’ বন্ধ করতে রাশিয়া ও ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। তিনি সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের এ সর্বশেষ ঘাঁটিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে নিজের এক প্রবন্ধে এরদোগান বলেন, ‘আসন্ন রক্তপাত বন্ধ করা’ পশ্চিমা বিশ্বের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে সিরিয়া সরকারের মিত্র মস্কো এবং তেহরানকেও ‘এই মানবিক বিপর্যয় বন্ধে’ ভূমিকা রাখতে হবে। তেহরানে রাশিয়া এবং ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের চারদিন পর এরদোগান এ মন্তব্য করলেন। বৈঠকে ইদলিবে নিষ্ঠুর হামলা প্রতিরোধে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এরদোগান। বিশ্লেষকরা বলেছেন বৈঠকে নিজ লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন এরদোগান এবং তার মন্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশারকে নিয়ন্ত্রণ না করার জন্য ইরান ও রাশিয়ার ওপর তুরস্কের হতাশা বাড়ছে। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অন্যতম সমর্থক তুরস্ক এবং দেশটি বাশারের উৎখাত প্রত্যাশা করে। সিরিয়ায় চলমান সহিংসতা বন্ধে একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে এখনো মস্কো ও ইরানের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে আঙ্কারা। অপর এক খবরে বলা হয়, সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিবের নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধ চলমান রয়েছে। তৃতীয় দিনের মাথায় মঙ্গলবার বিদ্রোহী অধ্যুষিত বিভিন্ন শহরে বিরামহীন বিমান হামলা চালিয়েছে রুশ ও সরকারি বাহিনী। এদিন ৯টি শহরকে টার্গেট করে প্রায় ৭০ ব্যারেল বোমা ফেলেছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০৪ জন নিহত হয়েছেন। জীবন বাঁচাতে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার অধিবাসী। জাতিসংঘ জানিয়েছে, নতুন করে অভিযান শুরুর পর ইদলিব থেকে ৩০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা পালিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে এ অভিযান অব্যাহত থাকলে আরও আট লাখ বেসামরিক বাসিন্দা পালিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় দফতর (ওসিএইচএ)। এতে একুশ শতকের সবচেয়ে ‘শোচনীয় মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি’ তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ওসিএইচএ-র প্রধান মার্ক লোকক। ইদলিবে অস্ত্রবিরতি নিয়ে শুক্রবার তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টত্রয়ের এক বৈঠক ব্যর্থ হয়। এরপর সিরিয়া ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো ফের প্রদেশটিতে বিমান হামলা শুরু করে। ওসিএইচএ-র মুখপাত্র ডেভিড সোয়ানসন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রোববার পর্যন্ত ৩০,৫৪২ জন বাস্তুচ্যুত হয়ে ইদলিবের অন্যান্য এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব ও সংলগ্ন লাতাকিয়া, হামা ও আলেপ্পো প্রদেশের ছোট কয়েকটি অংশে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বাস। এদের অর্ধেকই সিরিয়ার অন্যান্য অংশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে। পরিবারসহ পালাচ্ছিলেন ইদলিবের অধিবাসী আবু জসিম। পথে এএফপিকে তিনি বলেন, খান শেইখৌন শহর থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে তার পরিবার। তিনি বলেন, তারা আমাদের এলাকায় রকেট হামলা চালাচ্ছে। তাই দলবেঁধে পালিয়ে যাচ্ছি আমরা।’এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।