যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
ডায়াবেটিস জটিল এক রোগ। এ রোগে শরীরের প্রায় সবজায়গাতেই সমস্যা হয়। ডায়াবেটিসে পায়ের উপরও বিরুপ প্রভাব পড়ে। যারা দীঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া দীর্ঘ দিনের ডায়াবেটিস থাকলে পায়ের রক্তনালীতেও সমস্যা হয়। নার্ভ বা স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে রোগী পায়ে আঘাত লাগলে বা পা কেটে গেলে টের পাননা।
রোগী কিছুই অনেক সময় বুঝতে পারেন না। যেখান থেকে অনেক সময় বড় রকম সমস্যা হয়। পায়ে জীবানুর সংক্রমন ঘটে। কিছু ক্ষেত্রে এত বিপদজনক সংক্রমন হয় যে পা কেটে ফেলতে হতে পারে। সুতরাং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির পায়ের যত্ন নিতেই হবে।
যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের নিয়মিত পায়ের যতœ নিতে হবে। প্রতিদিনের শেষে পা পরিষ্কার করে ধুয়ে ভালমতো পায়ের দিকে লক্ষ্য করতে হবে। কোন কাটা আছে কিনা বা চামড়ায় কোন পরিবর্তন হয়েছে কিনা ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এরকম কোন পরিবর্তন হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। অবহেলা করা যাবেনা।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের পায়ের চামড়ারয় মোটা স্তর পড়ে। একে ‘ক্যালাস’ বলে। এসব ‘ক্যালাস’ নিজে নিজে চাঁছা বা অপারেশন করা যাবেনা। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে। খালি পায়ে কখনই হাঁটা যাবেনা। জুতা পরার সময় ভেতরে ভালভাবে দেখে নিতে হবে। অনেক সময় জুতার ভেতর ধারালো বস্তু থাকতে পারে। সেখান থেকে ঘটতে পারে বিপদ। সবসময় আরামদায়ক জুতা পরতে হবে। সঠিক মাপের জুতা পরতে হবে। সামান্য ছোট বা বড় জুতা বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে হাইহিল অবশ্যই বর্জন করতে হবে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের পায়ের যত্ন নিতেই হবে। কোন অবহেলা করা যাবেনা। সামান্য অবহেলাই বড় বিপদ নিয়ে আসতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।