মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে জ্বালানি তেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিরোধীদের ডাকে সোমবার ভারত বনধ পালিত হয়। এ মূল্যবৃদ্ধি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে।
ডলারের বিপরীতে রুপির দামে রেকর্ড পতন আর জ্বালানির আকাশছোঁয়া দামের পরও প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন, দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে সে প্রশ্নই ছুঁড়ে দেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
ভারতে সাধারণ নির্বাচনের মাত্র কয়েকমাস আগে সোমবারের ভারত বনধকে সরকারের দিকে বিরোধীদের ছুঁড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল বা আম আদমি পার্টির মতো অনেক দল বনধের ডাকে সামিল না-হওয়ায় বিরোধী ঐক্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
খবরে বলা হয়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে দিল্লিতে মানুষ কখনও লিটারে আশি রুপির বেশি দিয়ে পেট্রল কেনেননি। এদিকে সোমবার মহারাষ্ট্রের একটি শহরে পেট্রলের দাম প্রায় নব্বই রুপি ছুঁয়েছে। দেশের অনেক শহরেই ডিজেলের দামও দ্রুত সত্তর পেরিয়ে আশির দিকে ছুটছে। জ্বালানি তেলের এই নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে রাস্তাঘাটে।
জ্বালানি তেলের এই রেকর্ড দামের পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রা রুপির দরও পড়ছে হুড় হুড় করে। এ বছরের গোড়ার দিকে ১ ডলারে পাওয়া যেত ৬৪ রুপিরও কম, অথচ সেই ডলারের দামই এখন ৭৩ রুপি ছুঁই ছুঁই।
বনধের সমর্থনে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী বলেন, জ্বালানির দাম বাড়লে যে নরেন্দ্র মোদী সারা দেশ ঘুরে হইচই শুরু করে দিতেন, তার মুখে আজ একটা শব্দ নেই!
রান্নার জ্বালানির দাম এভাবে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় বেজায় সমস্যায় ভারতের কোটি কোটি মানুষ । আর এই তীব্র ক্ষোভ আর অসন্তোষকে কাজে লাগাতেই ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস, যাতে সমর্থন জানায় বামপন্থীরাসহ আরও প্রায় একুশটি ছোটবড় দল।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপির জন্য সম্ভবত সান্ত্বনা একটাই - কংগ্রেসের ডাকা ভারত বনধকে তৃণমূল কংগ্রেস বা আম আদমি পার্টির মতো বিরোধী দলগুলো সমর্থন করেনি । আসন্ন নির্বাচনের আগে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যুতেও যে সব বিরোধী দল একমত হতে পারল না, ভারত বনধে বিরোধীদের সেটাই সম্ভবত সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হবে। সূত্র বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।