বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জীবন যৌবন নি:শেষ করে শ্রমবিক্রির মাধ্যমে মানুষ করেছেন পাঁচ সন্তানকে। শ্রমজীবি বাবার পরম মমতা ভালবাসায় বড় হয়ে তারা আজ কর্মজীবি। স্ত্রী সন্তান নিয়ে গড়েছেন সুখের সংসার। বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে মেয়েরা বড় হলে তার দু:খের জীবনের অবসান ঘটবে। কিন্তু বিধিবাম। তার কপালে সেই স্বপ্নের সুখ মেলেনি। জীবনের শেষ সম্বল মাথা গোজার ঠাই বসত বাড়ি জোর পূর্বক লিখে নিয়েছে বড় সন্তান। বাড়ি লিখে নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি সে। সেই বাড়ি থেকে নির্যাতন করে বের করে দিয়েছে ছেলের স্ত্রী। সম্পদ না থাকায় অন্য ছেলে মেয়েরাও তার খোঁজ খবর নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে অসুস্থ শরীরে বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রীকে নিয়ে অন্যের বাড়ির নর্দমা ভর্তি পুকুরে চকি পেতে ভাঙা টিন আর পলিথিন টানিয়ে ঘর বানিয়ে সেখানে খেয়ে না খেয়ে কাটছে তাদের দিন। ব্রেইন স্ট্রোক ও প্যারালাইসড হয়ে শয্যাশায়ী হলেও মিলছে না কোন চিকিৎসা সেবা। নিজ ছেলে-মেয়েদের দ্বারা বৃদ্ধ বাবা মায়ের এমন করুন পরিণতি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর শহরে। এরা হচ্ছেন পৌর শহরের ঝিকিড়া মধ্যপাড়া মহল্লার জেনাত আলী প্রামানিক (৭৫) ও তার স্ত্রী লিলি খাতুন (৫৭)। তিনি উল্লাপাড়া পাটবন্দর কুলি শ্রমিকের সর্দার ছিলেন।
জানা যায়, উল্লাপাড়া পাটবন্দরের কুলি সর্দার জেনাত আলী শ্রমজীবির কাজ করে অনেক কষ্টে তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে বড় করেন। তারা সবাই বিয়ে করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সংসার গড়েছেন। ভালই চলছিল জেনাত আলীর সংসার। ৬/৭ বছর আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সুযোগে তার বড় ছেলে আব্দুল খালেক কৌশলে বাবার একমাত্র সম্বল পৌনে তিন শতক বসত বাড়ি লিখে নেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অন্য ছেলে মেয়েরা তা নিয়ে অশান্তি শুরু করে। গ্রাম্য সালিশ থেকে বিষয়টি মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়ায়।
এ বিষয়ে বৃদ্ধ দম্পতির এমন পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলে উল্লাপাড়া পৌরসভার মেয়র এস.এম. নজরুল ইসলাম জানান, জেনাত আলীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। জেনাত আলীর ছেলের বউ ও স্ত্রীর মতভেদের কারণে বিষয়টি মিমাংসা হয়নি। তারা যে এভাবে মানবতার জীবন যাপন করছে তা তিনি জানেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।