বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চীনের চারটি বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পেতে যাচ্ছে নেপাল। দেশটির সরকার গত শুক্রবার এ তথ্য জানায়। ভারতের একচেটিয়া বাণিজ্য শেষ করতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করছে হিমালয়ের এ দেশটি। ফলে ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে নেপালে ভারতের একক আধিপত্য।
ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী এ দেশটি জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। এমনকি অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্যও নেপালকে ভারতের বন্দর ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু কাঠমান্ডু ভারতের ওপর নির্ভরতা কমাতে চীনের বন্দর ব্যবহারের জন্য সুযোগ চেয়ে আসছিল। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সীমান্ত সমস্যার কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে নেপালে জ্বালানি ও ওষুধের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এরপরই নেপাল ভারতের বিকল্প খুঁজতে থাকে।
গত শুক্রবার কাঠমান্ডুতে এক বৈঠকে নেপাল ও চীনের মধ্যে ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়। নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নেপাল চীনের তাইঝিন, শেনঝেন, লিয়ানয়ুগাং ও ঝানঝিয়াং বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়া চীন নেপালকে তাদের লানঝো, লাহাসা ও সিগতসে স্থলবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
খসড়া যেহেতু সই হয়েছে তাই খুব দ্রæতই তা বাস্তবায়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এক সরকারি কর্মকর্তা। তবে কোনো তারিখে হবে তা তিনি বলেননি। নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রবি শঙ্কর বলেন, এটি এক ঐতিহাসিক ঘটনা। কারণ ভারতের দুটি বন্দরের পাশাপাশি আমরা চীনের চারটি বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছি। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর এশিয়ার দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানির সময় চীনের বন্দর ব্যবহার করলে সময় ও খরচ দুই-ই কমবে। এখন স্থলপথে বাণিজ্য করতে গিয়ে নেপালকে এখন ভারতের কলকাতা বন্দরের ওপর মূলত নির্ভর করে থাকতে হয়। এতে তিন মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। দিল্লি নেপালের বাণিজ্যের জন্য তাদের বিশাখাপত্তনম বন্দরও খুলে দিয়েছে।
তবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী চীনের সঙ্গে যুক্ত হতে গিয়ে নেপালকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হবে। কারণ তাদের চলাচল উপযোগী পর্যাপ্ত সড়ক নেই। এমনকি নেপাল সীমান্তে কাস্টসম অবকাঠামোও নেই। চুক্তি অনুযায়ী চারটি বন্দরের মধ্যে সবচেয়ে কাছেরটিও নেপাল সীমান্ত থেকে ১৬০০ কিলোমিটার দূরে।
একজন রপ্তানিকারক বলেন, চীনের বন্দর স্বচ্ছন্দে ব্যবহারের জন্য নেপালকে অবশ্যই যথাযথ অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। এসব ছাড়া বন্দর উন্মুক্ত করলেও কোনো লাভ হবে না। সাহায্য ও বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে চীন নেপালে তাদের অবস্থান পোক্ত করে নিয়েছে। আর এর ফলে দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তারকারী ভারত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে। সূত্র : রয়টার্স।
#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।