পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়ার সমস্যা রাজনৈতিক ভাবে সমাধান করার আহবান জানিয়েছেন দেশটির প্রধান তিন মিত্রদেশ রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান। সিরিয়া ইস্যুতে গতকাল ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহবান জানানো হয়। বৈঠকে যোগ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগান ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। খবর আনাদোলু এজেন্সী। বৈঠকে জাতিসংঘকে সিরিয়ায় মানবিক সাহায্য দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, সামরিক অভিযানের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হবে না। সেখানে তিন নেতা শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত ও সিসিয়ার শরনার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যপারে সহযোগীতা করতে অঙ্গীকার করেন। এসময় যুদ্ধ বিরতির আহবান জানিয়ে এরদোগান বলেন, ‘আমরা কখনোই চাই না ইদলিবে রক্তের বন্যা বয়ে যাক।’ এ বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত সিরিয়ার যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করেন কূটনৈতিক মহল।
আসাদের সরকার সিরিয়াজুড়ে বিদ্রোহীদের দমন করতে পারলেও ইদলিবে এখনও বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের শেষ বড় ধরনের লড়াই হবে এখানেই। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ইদলিবে এখনও ১০ হাজার আল-নুসরা ও আল-কায়েদা সদস্য অবস্থান করছে। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী জানিয়েছে, তারা বিদ্রোহীদের শেষ শক্তিশালী ঘাঁটি ইদলিবে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে ট্রাম্প টুইটারে হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, এই বেপরোয়া অভিযান হবে বড় ধরনের মানবিক ভুল এবং এই অভিযানে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। সতর্ক করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি বলেছেন, ইদলিবে আসাদ, রাশিয়া ও ইরানের পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ইদলিবে হামলা চালালে সেখানে ‘রক্তবন্যা’ হয়ে যেতে পারে। এরপর রাশিয়াও পাল্টা হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলে, সিরীয় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে ইদলিবে সামরিক অভিযান চালাতে প্রস্তুত রাশিয়া।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগ তেহরান ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ইদলিব দখল করা হলে তা হবে ২০১১ সালে শুরু হওয়া ক্রান্তীয় গৃহযুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিজয় ত্বরান্বিত হবে যাতে, প্রায় ৪ লক্ষ মানুয় নিহত এবং ১ কোটিরও বেশী গৃহহীন হয়েছেন। ইদলিবের বাসিন্দাদের প্রায় অর্ধেক সিরিয়ার অন্যান্য স্থানে সেনাবাহিনীর পূর্ববর্তী আগ্রাসনের পরে এখানে পালিয়ে এসেছিলেন। রাশিয়ান যুদ্ধ বিমান ও ইরানী মিলিশিয়াদের সমর্থনে বর্তমানে সিরিয়ার ৬০ শতাংশেরও বেশি ভূখন্ড সরকারী বাহিনীর দখলে আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।