Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

থিম্পুর প্রতিশোধ ঢাকায়

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

থিম্পুর প্রতিশোধ এবার ঢাকায় নিলো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রায় দু’বছর আগে এশিয়ান কাপের প্রাক-বাছাইয়ে যে ভুটানের কাছে হেরে জাতিকে লজ্জা দিয়েছিলো লাল-সবুজরা, এবার সেই ভুটানকে হারিয়েই সাফ সুজুকি কাপে শুভ সূচনা করলো জাতীয় দল। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে ‘এ’ গ্রæপের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হারায় ভুটানকে। বিজয়ী দলের হয়ে ডিফেন্ডার তপু বর্মন ও ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল একটি করে গোল করেন।
সাফ সুজুকি কাপের বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচটি দেখতে কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রায় ১৫ হাজার দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন। জয় পেয়ে দীর্ঘদিন পর দর্শকদের খুশি করাতে পারলেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি জাতীয় দলের ফুটবলাররা। ম্যাচে তারা জয় তুলে নিয়েছেন ঠিকই, তবে শ্রীহীন ফুটবল খেলে। ভুটানের মতো দলের বিপক্ষে অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করা ছিলো অমার্জনীয় ভুল।
জাকার্তা-পালেমবাং এশিয়ান গেমসে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে থিতু হয়ে গেলেন ব্রিটিশ জেমি ডে। তিনি আস্থাও অর্জন করলেন। তবে তার আস্থার প্রতীক কিন্তু তরুন ফুটবলাররাই। যারা ৪০ বছর পর এশিয়াডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলকে দ্বিতীয় রাউন্ডে তুলে দিয়েছিলেন। তাই সাফেও সেই তরুনদের উপর আস্থা রাখলেন জেমি। ফল পেলেন। চরম লজ্জার প্রতিশোধও নেয়া হলো।
ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ। তাই প্রায় দু’বছর আগের ইতিহাস মনে ছিলো দর্শকদের। তাছাড়া এশিয়ান গেমসে নজরকাড়া ফুটবল খেলা দলটির প্রতি তাদের আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। যে কারণে জামাল ভূঁইয়া-সুফিলদের খেলা দেখতে দীর্ঘদিন পর স্টেডিয়ামের গ্যালারীতে আলো ছড়ালেন হাজার হাজার দর্শক। দেশের জয়ে উল্লসিত তারা।
এবারের এশিয়াড ছিল বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে’র জন্য এক কঠিন পরীক্ষা। গেমসে অনুর্ধ্ব-২৩ দল ইতিহাস গড়া পারফরমেন্স করায় সেই পরীক্ষা উতরে গেছেন তিনি। ফলে সেই তরুণদের নিয়েই ভুটানের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামেন জেমি। তবে কিছুটা পরিবর্তনও ছিল তার কৌশলে। এশিয়াডে না খেলা ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল ও গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলকে সেরা একাদশে নামানো হয়। আর এশিয়াডে খেলা গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা এবং মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদকে রাখা হয় রিজার্ভ বেঞ্চে। অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম ও ফরোয়ার্ড সাখাওয়াত হোসেন রনিকেও রাখা সাইড লাইনে। পরে অবশ্য কোচ মামুনুলকে খেলিয়েছেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই স্বাগতিক দল আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয়। যার ফল তারা পায় মাত্র তিন মিনিটেই। বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ফাহাদকে বক্সে অবৈধভাবে বাধা দেন চেনচো তোবজাই। রেফারি সিভাকর্ণ পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি শট থেকে গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন তপু বর্মন (১-০)। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যেন আরও আক্রমাত্মক হয় ওঠেন জামাল ভূঁইয়ারা। তবে ৭ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে গোলরক্ষককে পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন মাহবুবুর রহমান সুফিল। যার দায় তিনি শোধ দেন দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন মাহবুবুর রহমান সুফিল (২-০)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজরা।
বাংলাদেশ ২ : ০ ভুটান



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ