নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রণয়ন, সংসদ বিলোপ, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা এবং বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের চার শর্ত দিয়েছে মুসলিম লীগ। তারা বলছে, এই ৪টি বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর নির্ভর করছে আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণম‚লক হবে কিনা।
সম্প্রতি মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসিডিয়াম ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এক জরুরি সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করা হয়।
দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, পরমতসহিষ্ণুতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেশ থেকে বিলুপ্ত প্রায়। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্য সামনে নিয়ে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সাথে লাগাতার দুই মাসব্যাপী মতবিনিময় করেছে। মতবিনিময় সভায় রাজনৈতিক দল, মিডিয়া কর্মী, বিশিষ্ট নাগরিকসহ অধিকাংশই তাদের পরামর্শমূলক সুপারিশে এসব বিষয়ই গুরুত্বসহকারে তুলে ধরেছিল। অধিকাংশের মতামতকে অগ্রাহ্য করে নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি আরপিও সংশোধনীর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত ও বিতর্কিত ইভিএমে ভোটগ্রহণ পদ্ধতি প্রচলনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
তারা বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত জনগণের অবিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে তুলছে। মুসলিম লীগ ইভিএমের মত অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থা সমর্থন করে না। দল অবিলম্বে এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে নির্বাচন কমিশনকে সরে আসার জোর দাবি জানাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, অনির্বাচিত এমপিদের নিয়ে গঠিত সংসদের বিলোপ ছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে না।
প্রধান বক্তা দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, দেশ জাতীয়ভাবে সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। এ সঙ্কট মোকাবেলায় তিনি সরকারের নিকট সংলাপ আহŸানের দাবি জানান। আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন প্রেসিডিয়ামের সিনিয়র সদস্য আতিকুল ইসলাম, নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রশিদ চৌধুরী, ওয়াজের আলী মোড়ল, অধ্যাপক মোতালিব আখন্দ, মাওলানা কারামত ফরাজী, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, আকবর হোসেন পাঠান, অধ্যাপক শাহজাহান, শহুদুল হক ভ‚ঁইয়া, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, আনসার আলী খান, ওয়াহিদুর রহমান, শেখ এ সবুর, এস. এইচ খান আসাদ, খোন্দকার জিল্লুর রহমান প্রমুখ।