Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতে বাধা অপরিকল্পিত নগরায়ণ

গোলটেবিল বৈঠকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে অন্যতম প্রতিবন্ধক। ডিটেইল এরিয়া প্লান (ড্যাপ) সারাদেশে নগরায়ণ ও শিল্পায়ন করা প্রয়োজন। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সহজতর হবে। একইসঙ্গে জোন বা নির্ধারিত স্থান ছাড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ার জন্য বিতরণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল ডেইলি সান পত্রিকার উদ্যোগে আয়োজিত  পাওয়ার রোডম্যাপ টার্গেট-২০২১ শীর্ষক গোলটেবিল  বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রæপের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ গোলটেবিল বৈঠকে পত্রিকার সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈনউদ্দিন (অব.), সামিট পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক  লে. জে. আব্দুল ওয়াদুদ (অব.), বুয়েটের অধ্যাপক ম তামিম, অধ্যাপক ইজাজ হোসেনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘৯২ ভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। বর্তমানে বার্ষিক ৪৬৪ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ জনপ্রতি ব্যবহার করলেও মধ্যম আয়ের দেশে যেতে হলে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ জনপ্রতি ব্যবহার করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পিক বা অফপিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদার গ্যাপ কমাতে বিশেষজ্ঞদের সুচিন্তিত মতামত প্রয়োজন। দিনের আলো বা সূর্যের আলো কীভাবে আরও ব্যবহার করা যায় তার সমন্বিত পরিকল্পনা করতেও সহযোগিতা প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে আমরা অনেক এগিয়ে আছি, এ কথা বলতে পারি। এক সময় বলা হতো কুইক রেন্টাল দেশকে দেউলিয়া করবে। কিন্তু না, তেমন কিছুই হয়নি। দেশ বরং এগিয়ে গেছে। রংপুর-রাজশাহী অঞ্চলে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় কিছুটা লোডশেডিং হচ্ছে।
মূল প্রবন্ধে মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ২০২১ সালের জন্য যে লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছে তার অনেক কাছে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। এখন ২০৪১ সালের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ২০৪১ সালে ৪৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হলেও ৬০ হাজারের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। তিনি বলেন, এই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রায় ৮২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। এখন চ্যালেঞ্জ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ