পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এখন পরিষ্কার রেন্টাল-কুইক রেন্টাল পুরোটা চলাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট : বিডি রহমত উল্লাহ
ভারতের আদানি গোড্ডা কোল পাওয়ার প্ল্যান্টের টাকা পরিশোধ করতেই এ কৌশল
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি করার এখতিয়ার সরকারের : আবু ফারুক
ডলারের তীব্র সঙ্কট। ডলারের অভাবে এখনো কিছু ব্যাংক এলসি খুলতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পর্যন্ত সঙ্কটের কথা স্বীকার করে বলেছেন, জানুয়ারিতে সঙ্কট কেটে যাবে। ডলারের সঙ্কটে বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের নতুন ফাইল খোলা বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকার নানাভাবে ডলারের ঘাটতি কাটাতে সময়োপযোগী কৌশল গ্রহণ করেছে। শুধু তাই নয়, ডলার সঙ্কটের কারণে নানা শর্ত মেনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। অথচ ডলারে বিল পরিশোধ করতে হয় এমন রেস্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র টিকিয়ে রাখার কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভয়াবহ বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে ২০১০ সালে রেন্টাল-কুইট রেন্টাল বিদ্যুতের প্রয়োজন ছিল। এখন সেটার প্রয়োজন নেই। কিন্তু সরকারের কিছু ব্যক্তি ও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ভারতের ঝাড়খন্ড প্রদেশের গোড্ডা জেলায় ‘আদানি গোড্ডা কোল পাওয়ার প্ল্যান্ট’কে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করতেই দেশে রেন্টাল বিদ্যুৎ টিকিয়ে রাখার কৌশল গ্রহণ করেছে। এক ইউনিট বিদ্যুৎ আসেনি তবুও ভারতের আদানি গ্রæপকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে ১২১৯ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে পাওয়ার সেলের সাবেক ডিজি বিডি রহমত উল্লাহ বলেন, কমিশন (বিইআরসি) দিয়ে কিছু হবে না। আগে পরিষ্কার ছিল না, এখন পরিষ্কার রেন্টাল-কুইক রেন্টাল পুরোটা চালাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। এরা কোনোদিন রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বন্ধ হতে দেবে না। শুরুতে বলা হয়েছিল তিন থেকে পাঁচ বছরের বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো প্রয়োজন হবে না; হওয়ার কথাও নয়। এখন কেন প্রয়োজন হচ্ছে? কারণ, সিন্ডিকেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ভারতের ঝাড়খন্ড প্রদেশের গোড্ডা জেলায় ‘আদানি গোড্ডা কোল পাওয়ার প্ল্যান্ট : অ্যান অ্যাকিলিস হিল অব দ্য পাওয়ার সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ মাসের ভাড়া (ক্যাপাসিটি চার্জ) হবে ১৪১ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার (১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা)। ২০১৭ সালে সই হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, আদানি গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিটপ্রতি ক্যাপাসিটি চার্জ ৩ টাকা ২৬ পয়সা। অথচ বাংলাদেশে একই ধরনের প্ল্যান্টের জন্য ক্যাপাসিটি চার্জ ২ টাকা ৮৩ পয়সা। চুক্তি অনুযায়ী আদানি পাওয়ার ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২৫ বছরের জন্য ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক এম শামসুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হচ্ছে, তা আমরা সবাই জানি। রেন্টাল-কুইক রেন্টালের জায়গায় কেউ হাত দিচ্ছেন না। পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এদিকে ডলার সঙ্কটের মধ্যেই ডলারে দাম পরিশোধ করতে হয় এমন রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র জিইয়ে রাখার নতুন কৌশল নেয়া হয়েছে। তুমুল বিতর্কের মধ্যেও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো জিইয়ে রাখার নতুন এক কৌশল বের করেছে পিডিবি’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের দাবি, ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’। অর্থাৎ কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ নিলে দাম দেয়া হবে, না নিলে হবে না। অথচ এক ইউনিট বিদ্যুৎ না নিয়েও ভারতের আদানি গ্রæপকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে ১২১৯ কোটি টাকা। সে টাকা ১৪১ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারে পরিশোধ করতে হবে।
পিডিবির কর্মকর্তাদের দাবি, রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র টিকিয়ে রাখার কৌশল সরকারের জন্য লাভজনক। তবে নথিপত্র অনুযায়ী, কোনো প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রে অংশ না নিয়ে কেবল দরকষাকষির মাধ্যমে কাজ পেয়েছিলেন রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোক্তারা। শুরুতে যেমন অতিরিক্ত দাম পেয়েছিলেন, এখনও প্রায় তেমন দামই পাচ্ছেন বা পাবেন।
বিইআরসির সদস্য আবু ফারুক ইনকিলাবকে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি করার এখতিয়ার সরকারের। কাজেই কমিশন সরাসরি কিছু বলতে পারে না। এর জন্য যে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে, তার দায় বিইআরসি নেবে না। তিনি বলেন, পিডিবি এবার কমিশনকে রেন্টাল টিকিয়ে রাখার খরচের একটি হিসাব দিয়েছে। কেন্দ্র যখন চলবে, তখনই বিল দেয়া হবে। তবে এখনও পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে দেয়া খরচ নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে।
‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ সুবিধার আওতায় টিকে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম আটটি হলো ডাচ বাংলা কোম্পানির সিদ্ধিরগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট, আইইএলের মেঘনাঘাট ১০০ মেগাওয়াট, সামিট পাওয়ারের মদনগঞ্জ ১০২ মেগাওয়াট, ইপিএলের সিলেট ৫০ মেগাওয়াট, এনার্জি প্রিমার ফেঞ্চুগঞ্জ ৪৪ মেগাওয়াট, কেপিসিএলের খুলনা ১১৫ মেগাওয়াট, খানজাহান আলীর নওয়াপাড়া ৪০ মেগাওয়াট, এনার্জি প্রিমার বগুড়া ২০ মেগাওয়াট। কেন্দ্রগুলো আগে পুরোপুরি চুক্তিভিত্তিক ভাড়ায় চালিত ছিল। সরকার কোনো কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করলে ওই কোম্পানিকে অবশ্যই তিন ধরনের ব্যয় বুঝিয়ে দিতে হয়। এর একটি হচ্ছে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট, যা ভাড়া হিসেবে দিতে হয়। নতুন চুক্তি অনুযায়ী এই আট কোম্পানি বিদ্যুৎ না দিলে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পাবে না। তবে অন্য দুই ধরনের ব্যয়-অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স পেমেন্ট এবং জ্বালানি খরচের টাকা উৎপাদন না করেই বসে বসে পেয়ে যাবে তারা। এতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বিপুল পরিমাণ টাকা গচ্চা যাচ্ছে। আট কোম্পানির বাইরে তেলচালিত চারটি কুইক রেন্টাল কেন্দ্র রয়ে গেছে। এগুলো হচ্ছেÑ আমুনারা ৫০ মেগাওয়াট, পাওয়ারপ্যাকের কেরানীগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট, নর্দান পাওয়ারের কাটাখালি ৫০ মেগাওয়াট ও অ্যাকরনের জুলদা ৫০ মেগাওয়াট। চুক্তি অনুযায়ী তারাও টাকা পেয়ে যাবে। এক মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সাত কোটি টাকার মতো ব্যয় হয়। সে হিসাবে, তেলচালিত ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কেন্দ্র নির্মাণে খরচ হওয়ার কথা ৭০০ কোটি টাকা। কিন্তু দেশে যে রেন্টাল ও কুইক রেন্টালগুলো করা হয়েছে অভিযোগ রয়েছে সব প্রতিষ্ঠানে পুরনো মেশিন বসানো হয়েছে। কাগজপত্রে দেখা গেছে, কেন্দ্র নির্মাণে ৩০ শতাংশ মূলধনী বিনিয়োগ লাগে। ৭০ শতাংশ ব্যাংক বিনিয়োগ করে। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের টাকা কেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজনই হয়নি।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ফার্নেস অয়েলচালিত ১০০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র যদি ইউনিটপ্রতি দুই টাকা করেও ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পায়, তাহলে ৮০ ভাগ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর হিসেবে ৫৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার মতো ভাড়া পায়। পাঁচ বছরে এই অঙ্ক দাঁড়ায় ৯৫০ কোটি টাকা। তিনি বলেন, উদ্যোক্তারা কেন্দ্র নির্মাণের সময় প্রাক্কলিত হিসাব জমা দিয়ে বিদ্যুতের দাম ধরেন। তবে বিক্রয়োত্তর প্রকৃত লাভ কেমন হচ্ছে, তা কেবল তারাই জানেন। যদিও সবার লাভ সমান নয়। অটোবির উদাহরণ টেনে ওই কর্মকর্তা বলেন, না বুঝে বিদ্যুৎ ব্যবসায় এসে অটোবি তাদের মূল ব্যবসা সঙ্কটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। যশোরের নওয়াপাড়ায় একটি কেন্দ্র করে ব্যাপক লোকসানের মধ্যে পড়েছে তারা। তবে একে ব্যতিক্রমী ঘটনা বলা যায়।
পুরনো বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের বিষয়ে এবার কঠোর হলো বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে তা নবায়ন করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে পিডিবি চাইলেই পুরনো কেন্দ্র সিস্টেমে রাখতে পারে। সাধারণত গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০ বছর এবং তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ থাকে ১৫ বছর। কিন্তু পিডিবির কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে ২৫ থেকে ৩০ বছরের পুরনো। শুধু পিডিবি নয়, ঘোড়াশাল এবং আশুগঞ্জেও এরকম কিছু পুরনো ইউনিট রয়েছে। যার কয়েকটি রিপাওয়ারিং অর্থাৎ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও কিছু কেন্দ্র রয়েছে যেগুলো অতি পুরনো। এসব ইউনিটকে রিপাওয়ারিং করাও সম্ভব নয়। আশুগঞ্জের ১৫০ মেগাওয়াট করে দু’টি ইউনিট রয়েছে। কেন্দ্র দু’টি যথাক্রমে ১৯৮৬ এবং ১৯৮৭ সালে উৎপাদনে আসে। কেন্দ্র দু’টির একটির বয়স ৩৫ বছর, অন্যটির ৩৬ বছর। ঘোড়াশালে ২১০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র রয়েছে, ১৯৮৯ সালে এটি উৎপাদন শুরু করে। কেন্দ্রটি ইতোমধ্যে ৩৩ বছর পার করেছে। সিলেটে একটি ২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রের বয়স ৩৬ বছরে ঠেকেছে। কেন্দ্রটি ১৯৮৬ সালে চালু করে পিডিবি। ফেঞ্চুগঞ্জ ৯১ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটির বয়স এখন ২৮ বছর। রংপুর এবং সৈয়দপুরে দু’টি কেন্দ্র রয়েছে সেগুলোও ৩৫ এবং ৩৬ বছরের পুরনো। কেন্দ্র দু’টি যথাক্রমে ১৯৮৬ এবং ১৯৮৭ সালে উৎপাদন শুরু করে। এত পুরনো কেন্দ্র কেন এখনও টিকিয়ে রাখা হচ্ছেÑ এ বিষয়ে পিডিবির কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। তারা বলছে, নানা করণে কেন্দ্রগুলোকে অবসরে পাঠানো সম্ভব হয় না। কিন্তু কেন্দ্রগুলোকে অবসরে পাঠানোর একটা সময় ইতোমধ্যে তারা নির্ধারণ করেছে। সেগুলো এর আগেও কয়েক দফা করা হলে শেষ অবধি তা ঠিক রাখতে পারে না পিডিবি।
দ্রæত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে ২০১০ সালে বিশেষ বিধান রেখে সাময়িক একটি আইন করেছিল সরকার। কয়েক দফা তার মেয়াদ বাড়িয়ে তা ২০২১ পর্যন্ত করা হয়। গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর ‘বিদ্যুৎ ও জ্বলানির দ্রæত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ আইনটির মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। কুইক রেন্টালের ভাড়াভিত্তিক বেশির ভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০১১-১২ সালের দিকে উৎপাদনে আসে। পরবর্তীতে দফায় দফায় ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য সময় বাড়ানো হয়। এখন ডলার সঙ্কট চলছে। তারপরও ডলারে দাম পরিশোধ করা কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ধরে রাখার কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে। অথচ বিশেষজ্ঞরা কয়েক বছর আগেই বলেছেন, এখন কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই। কার স্বার্থে রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ধরে রাখার কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে সেটাই প্রশ্ন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।